পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
শাহবাজ শরিফ তাঁর চিঠিতে বলেন, বন্যায় বাংলাদেশিদের প্রাণহানি ও ক্ষয়-ক্ষতিতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি বিশ্বাস রাখি, আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই এই সংকট কাটিয়ে উঠবে। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি এবং বাংলাদেশকে সবসময় সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, এর আগে হাসিনা সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানায় পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী।
আকস্মিক বন্যার কবলে বাংলাদেশের ১১ জেলা। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৯ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই আকস্মিক বন্যায়। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে বিপাকে বানভাসীরা। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ১১ লাখ গ্রাহক।
আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বিভাগ জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এখন পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টিই আছে। এসব জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮টি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বন্যায় মোট ১৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় ৪ জন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে ৫ জন, নোয়াখালীতে ৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন মারা গেছেন।
কামরুল হাসান বলেন, বন্যা মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৫২৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
তিনি জানান, বন্যাদুর্গত ১১ জেলায় মোট ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার ১৫০ টন। এ ছাড়া শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার পিস। শিশুর খাদ্য কেনার জন্য ৩৫ লাখ এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।