এই পানির সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ স্বল্পকালীন হলে হয়তো সে রকম গুরুতর সমস্যা হত না। কিন্তু ক্রমান্বয়ে বেশ কিছুদিন এ রকম চলতে থাকলে ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন;
উপযুক্ত চিকিৎসা ও অপরিচ্ছন্ন পানি ব্যবহার বন্ধ না হলে এই সমস্যাগুলো জটিলাকার ধারণ করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে একসঙ্গে অনেক মানুষ থাকার ফলে সংক্রামক রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে।
এ ক্ষেত্রে সর্বপ্রথমেই আসে ‘স্কেবিজ’-এর প্রসঙ্গ, যা কি না অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ এবং অতি দ্রুততার সঙ্গে রোগটি শিশু-যুবক-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে।
এই রোগটির সর্বপ্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, অন্যান্য অনেক সংক্রামক ব্যাধির মতো এটা একবার সংক্রমিত হলে শরীরে কোনো স্থায়ী বা সাময়িক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি আদৌ সৃষ্টি হয় না। তখন একই ব্যক্তি উপযুক্ত চিকিৎসার পর সেরে গেলেও সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে সংস্পর্শে আসলে আবারও সংক্রমিত হয়ে পড়বেন।
‘স্কেবিজ’ রোগটি থেকে মুক্তি পেতে তাই একযোগে এক স্থানে বসবাসরত সবার চিকিৎসা করতে হবে। বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের ত্বকের সুরক্ষায় দরকার এই রোগগুলো সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. যাকিয়া মাহফুজা যাকারিয়া
সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডার্মাটোলজি
উত্তরা স্কিন কেয়ার অ্যান্ড লেজার, ঢাকা
news24bd.tv/JP