নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় সদর উপজেলার যদুপুরে বন্ধুর স্ত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে অপর দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। গত বুধবার সন্ধ্যায় যদুপুর গ্রামের পুরাতন মসজিদ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী আব্দুল হালিম বাদী হয়ে তাঁর দুই বন্ধু একই এলাকার মিলন হোসেন (৩০) ও ওয়াসিম আলীকে (৩০) আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ মামলায় অভিযুক্ত ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করেছে বেগমপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের যদুপুর মসজিদপাড়ার আব্দুর সাত্তারের ছেলে মিলন হোসেন মিলো (৩৫) ও মৃত জাফর ম-লের ছেলে ওয়াসিমের (৩০) সঙ্গে আব্দুল হােিমর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এরই জের ধরে তাঁরা একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। গত ৩০ অক্টোবর মিলন তাঁর জমির পেপে ও কলা বিক্রি করার জন্য আব্দুল হালিমকে যশোরে পাঠান। এ সময় আব্দুল হালিমের স্ত্রী তাঁর ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন। গত বুধবার রাত নয়টার দিকে আব্দুল হালিমের স্ত্রী মুরগির ফার্ম দেখাশোনা করে ঘরে ফেরার সময় পূর্বে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মিলন ও ওয়াসিম তাঁর মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশে ইদ্রিস আলীর কলাবাগানে নিয়ে যান। এ সময় তাঁরা আব্দুল হালিমের স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে কলাবাগানে ফেলে রেখে যান। পরে তিনি বাড়িতে এসে তাঁর আত্মীয়-স্বজনের কাছে ঘটনা খুলে বলেন। ধর্ষণের ঘটনা জানতে পেরে আব্দুল হালিম বাড়ি ফিরে এসে ধর্ষণের শিকার তাঁর স্ত্রীকে গতকাল বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আব্দুল হালিম বাদী হয়ে তাঁর দুই বন্ধু একই এলাকার মিলন হোসেন মিলো ও ওয়াসিমকে আসামি করে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এদিকে, অভিযোগ পেয়ে সদর থানার নির্দেশে বেগমপুর ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ রাজীব আলী ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশরাফ যদুপুর বাজার থেকে ওয়াসিমকে আটক করেন। পরে আটক ওয়াসিমকে সদর থানা হেফাজতে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (তদন্ত) এ এইচ এম লুৎফুল কবীর বলেন, খবর পেয়ে ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই নারীর স্বামী আব্দুল হালিমের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুল হালিম বাদী হয়ে যদুপুর গ্রামের দুজনের নামে সদর থানায় অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে বেগমপুর ফাঁড়ি পুলিশ। অভিযুক্ত অপর আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও জানান, ধর্ষনের শিকার ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন।