নিউজ ডেস্ক:
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে প্রথমে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ও পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বঙ্গবন্ধু ভবনের ভেতরে যান এবং সেখানে আধাঘণ্টারও বেশি সময় অবস্থান করেন।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ধারাবাহিকভাবে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার পর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু ভবন। এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা জাতির জনকের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানে দীর্ঘ কারাবাস শেষে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু। নয় মাসের সশস্ত্র ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন হলেও প্রকৃতপক্ষে তার দেশে ফিরে আসার মধ্য দিয়েই বাঙালির বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। জাতির জনক নিজেই তার এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে। তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই দিনটি অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।