নানা আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন; আলোচনা সভায় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার
নিউজ ডেস্ক:নানা আয়োজনে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল রোববার বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা:
সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় নানা আয়োজনে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল রোববার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় চত্বরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা। পরে সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এ র্যালিতে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর। এ ছাড়াও অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. শামসুজ্জোহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নানসহ জেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। তিনি বলেন, ‘ঘাতকরা বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে মনে করেছিল আওয়ামী লীগ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ শেষ হবে না, আওয়ামী লীগ-আওয়ামী লীগই। এর একটা বীজ থাকলেও তা থেকে অনেক চারা বের হবে। কোনোভাবেই আওয়ামী লীগকে শেষ করা যাবে না। একদল এক নেতাই আমরা বিশ্বাসী নই। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লাখো-কোটি কর্মী। যে দলে কর্মী নেই, সেই দলের মূল্য নেই, নেতাও নেই।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাচনী গাইডলাইনে বলেছিলেন যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর ও জেল হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে এই দেশের মাটিতে বিচার করা হবে। তাঁদের বিচার হচ্ছে এবং ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তা কার্যকর করা হচ্ছে। এমপি ছেলুন বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রতিটি গ্রামই হবে এক একটি শহর। পৌরসভার সব সুবিধা পাবেন গ্রামের মানুষ। ড্রেন হবে, সাপ্লাইয়ের পানি হবে, আরও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে। বদলে যাবে জীবনযাত্রার চিত্র।
এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু দেশের পুরোনো ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলই নয়, এটি গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শের মূলধারাও। প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের সমাজ-রাজনীতির এ ধারাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে নিচ্ছে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নানের পরিচালনায় আলোচনা সভার বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজী আলি আজগর টগর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগের নেতারাসহ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার সকাল আটটায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র হাসান কাদীর গনু, উপজেলা চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খানসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বেলা তিনটার দিকে উপজেলা পরিষদের মঞ্চে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র হাসান কাদীর গনুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। এ দলের বহু অর্জন আছে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বললেন, পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দূ। সে থেকে বাঙ্গালীরা প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে, শুরু হয় ভাষার জন্য আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৬৬ সালে ছয় দফা, ১৯৬৮ সালে ১১ দফা, ১৯৬৯ সাল গণআন্দোলন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেও তাঁরা ক্ষমতা ছাড়েনি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সবই আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আয়ুব খানের সামরিক শাসন দেখেছি, এরশাদের সামরিক শাসন দেখেছি, আন্দোলন করে তাঁদের গদি ছাড়তে বাধ্য করেছি। এক সময় বিরোধীরা বলত, নৌকায় ভোট দিও না, ছেলুনকে ভোট দিলে এ দেশ ভারত হয়ে যাবে। আমরা ১১ বছর ক্ষমতায় আছি, এ দেশ কী ভারত হয়েছে, হয়নি। আমাদের উন্নয়ন দেখে তাঁদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আগামিতে আর কোনো রাজাকারকে ভোট দেবেন না।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মজিবর রহমান, খন্দকার শাহ আলম মন্টু, হামিদুল ইসলাম, লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহ আলম, দেলোয়ার হোসেন, কাজী রবিউল হক, আবু মুছা ও সিরাজুল ইসলাম। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টারের উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাবুল হক ঠান্ডু, ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, কাজী খালেদুর রহমান অরুন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালমুন আহম্মদ ডন, জেলা যুবলীগের সদস্য মতিয়ার রহমান ফারুক, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আহসান উল্লাহ, পরিমল কুমার ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নুর মোহাম্মদ জকু, আহসান মৃধা, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, আবু তাহের আবু, আবু সাইদ পিন্টু প্রমুখ।
দর্শনা:
দর্শনায় আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়। দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজী আলী আজগার টগর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মনজু, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আলী মুনসুর বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এসএএম জাকারিয়া আলম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাজী জয়নাল আবেদীন, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আমির হোসেন, দর্শনা পৌর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক আরিফ, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, সহসম্পাদক আব্দুল মান্নান খাঁন, দর্শনা পৌর যুবলীগের সম্পাদক শেখ আসলাম আলী তোঁতা, জেলা পরিষদের সদস্য মুন্সী সিরাজুল ইসলাম ও ইউসুফ আলী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, মোমিনুল ইসলামসহ অঙ্গ সঙ্গঠনের নেতা-কর্মীরা।
কার্পাসডাঙ্গা:
দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে চন্দ্রবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাটুদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা মোশারফ তরফদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটুদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা মনি ফকির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আশাদুল, রকিব উদ্দীন, আব্দুল মান্নান, কোরবান আলী খাঁন, বদর উদ্দীন, আনিছুর রহমান, মেহের, ই¯্রাফিল শেখ, হোসেন তরফদার, রহমান মহুরি, আনিসুর, নাজিম বিশ্বাস, পিন্টু, মুক্ত মোল্লা, সাখাওয়াত, রমজান আলী, হাশেম, আনারুল, রহিম খাবলী, জব্বার খাবলি প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ জলিল। মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা হাফিজুর রহমান।
মেহেরপুর:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুরে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। গতকাল রোববার সকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাসভবনের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস উপস্থিত থেকে পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহিন, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য্য, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম আরা হীরা, বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ্জামান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আরিফুল এনাম বকুল, যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী সামিউন বাসিরা পলি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লতিফন নেছা লতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ দিন বিকেলে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আয়োজনে আনন্দ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়। গতকাল রোববার দুপুরের দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কুদরত-ই-খোদা রুবেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, যুগ্ম সম্পাদক শোভন সরকার, ছাত্রলীগের নেতা মিরাজ রহমান, সান, মাসুদ ,আরিফ, সাকিব প্রমুখ। এর আগে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কুদরত-ই খোদা রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার নেতৃত্বে আনন্দ মিছিলটি কলেজ মোড় প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
বারাদী:
মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে নয় পাউন্ড ওজনের কেক কেটে দলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম মোমিন, যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল ইসলাম লিটন, জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান, ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আ. কুদ্দুস, মুলাম, আবু জাফর লিটন, রুহুল আমিন, রোকন, শাহার আলী, ফরজসহ আরও অনেকে।
গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পৃথকভাবে পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে গাংনী বাজারের শহীদ রেজাউল চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা নুরজাহান বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, গাংনীর পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা পরিষদের সদস্য মজিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা পচু, বিআরডিবির চেয়ারম্যান আলী আজগর, মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ, সাহারবাটি ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন বিশ^াস প্রমুখ। আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে এমপি সাহিদুজ্জামান খোকনের নেতৃত্বে একটি র্যালি উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
এর আগে সকালে গাংনী উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ রেজাউল চত্বরে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে একটি বিশাল র্যালি শহর প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে শেষ হয়। র্যালি শেষে সেখানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকবুল হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, পৌরসভার সাবেক মেয়র আহম্মদ আলি, জাতীয় পার্টি জেপির কেন্দ্রীয় নেতা আ. হালিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শাহ, ইয়াছিন রেজাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
ঝিনাইদহ:
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাতটায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর নেতৃত্বে র্যালিসহ ঝিনাইদহ শহরের প্রেরণা-৭১ চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। বিকেল চারটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আজিজুর রহমান, তৈয়ব আলী জোয়ার্দ্দার, অ্যাড ইসমাইল হোসেন ও পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। আলোচনা সভায় সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম না হলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হতো না। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। তিনি বলেন, এ দলটি যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততোবারই দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কথা ভেবেছে। তিনি ঝিনাইদহের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আরও বলেন, বাংলাদেশে যত মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, তার বেশির ভাগ কৃতিত্ব আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগ মানেই চ্যালেঞ্জ ও উন্নয়নের দুঃসাহস দেখানো।
হরিণাকু-ু:
ঝিনাইদহের হরিণাকু-ুতে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় র্কাযালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনরে মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে উপজলো আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এক র্বণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্জ মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়রম নেতা আজগার আলী মাষ্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শাহীনুর রহমান রিন্টু, উপজলো কৃষক লীগের সভাপতি বদিউল আলম, তাহেরহুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনজুরুল আলম, দৌলতপুর ইউনয়িন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাব্দার রহমান, পৌর প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতা খাইরুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের সভাপতি আবু সাঈদ টুনু, সাবেক উপজলো ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি জহুরুল ইসলাম ধ্বনী, ছাত্রলীগের নেতা বিল্লাল হোসেন, রুবেল আহম্মেদ প্রমুখ।