.দুর্বল হয়ে চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ঝিনাইদহ অতিক্রম করলো প্রবল ঘুর্ণীঝড় ‘ফণী’
নিম্নচাপে আক্রান্ত ফসল : আজ থেকে স্বাভাবিক হবে আবহাওয়া
নিউজ ডেস্ক:বিশেষ প্রতিবেদক:বিশেষ প্রতিবেদক:দীর্ঘ রুদ্ধশ্বাস উৎকন্ঠাশেষে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারাদেশ এখন ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবমুক্ত। দমকা বাতাস ও থেমে থেমে বৃষ্টিও কমে গেছে অনেকাংশে। আজ থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার পর থেকে ফণী অবস্থান নেয় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা ও সদরের একাংশে। এ সময় মৃদু বাতাসের সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টিপাত হয়। রেইন ঠান্ডারে টানা ৩০ ঘন্টায় ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ও ঘন্টায় ২৮ থেকে ৩০ কিলোমিটার গতিবেগে প্রবাহিত বাতাসের গতি রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ অঞ্চলে অবস্থানকালে ঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার। শুক্রবার রাত থেকে গতকাল রাত পর্যন্ত ঝড়ে ঘর-গাছ চাপা ও পানিতে ডুবে সারাদেশে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ জনের। ফণীর আঘাত তেমন প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও বৃষ্টিতে মাঠে থাকা বোরো ধান ও শাক-সবজির কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে তেমন কোন সমস্যা দেখা না দিলেও মাঝে মাঝে বিদ্যুতের আসা যাওয়া লক্ষ্যণীয় ছিল। কোথাও কোন সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে মেরামত করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাই বড় ধরণের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি গ্রাহকদের। এদিকে বিকাল নাগাদ প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী দেশের উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ময়মনসিংহের জামালপুর অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় গিয়ে নি¤œচাপে রুপ নেয়। দিনব্যাপি ফণীর তান্ডবে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এদিকে গত শুক্রবার মধ্যরাতে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসে ঘূর্ণীঝড় ফণী। শনিবার সন্ধ্যায় দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক হয়ে ভারতের আসাম মেঘালয়ে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় ফণী। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ফণী। আবহাওয়া পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা:ব্যাপক প্রস্তুতি, সতর্কতা ও আতঙ্ক কাটিয়ে চুয়াডাঙ্গা অতিক্রম করে প্রবল ঘূর্ণীঝড় ‘ফণী’। শনিবার সকাল থেকে বাতাসের সঙ্গে হালকা ও মাঝারী বৃষ্টিপাত ছাড়া তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে টানা বৃষ্টির কারণে জলবদ্ধতায় নষ্ট হয়েছে জমিতে থাকা পাঁকা বোরো ধান ও শাকসবজি। বৃষ্টি পরিমাপকযন্ত্রে টানা ৩০ ঘন্টায় চুয়াডাঙ্গায় ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ও ঘন্টায় ২৮ থেকে ৩০ কিলোমিটার গতিবেগে প্রবাহিত বাতাসের গতি রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ অঞ্চলে অবস্থানকালে ঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার।কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলার ৭০২ হেক্টর জমির বোরো ধান ঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে। এ সকল জমির ধান কেটে সময় ও সুযোগের অভাবে ঘরে তুলতে না পারায় পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তবে আজ (রোববার) আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে রোদ্রে শুকিয়ে কোনও ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া পাকাধান ঘরে তোলা সম্ভব। জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুমের ফোকাল পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ বলেন, ‘ফণী মোবাবিলায় জেলা প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুম চালু রেখে রুট লেভেলের খবরাখবর রাখা হয়। দ্রুত স্বাস্থ্য সেবা ও উদ্ধার কাজের জন্য সিভিল সার্জন অফিসে ২টি, সদর হাসপাতালে ১টি, চার উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে ২০টি এবং প্রত্যেক ইউনিয়নে ১টি করে মেডিকেল টিম প্রস্তুত ছিল। ঘূর্ণীঝড়ের আঘাতে কোন এলাকা, রাস্তা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা মেরামতের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ, স্কাউটস, রোভার স্কাউটস, রেডক্রিসেন্ট, বিএনসিসি ও সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়। জেলা ত্রাণ ভান্ডারে পর্যাপ্ত খাবার ও ঔষধ মজুদ ছিল। এ ছাড়া আমাদের জেলার সকল উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ কলেজগুলোকে সাইক্লোন সেন্টার ঘোষণা করে সেখানে নিরাপদ আশ্রয় প্রত্যাশিদের সরিয়ে নেয়া হয়। আল্লাহর অশেষ রহমতে কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া দুর্বল গতিতে ঝড়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা অতিক্রম করেছে। পরবর্তীতে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে নিরাপদে নিজ নিজ ঘরে ফিরে গেছে সাধারণ মানুষ।’ আলমডাঙ্গা:ঘূর্ণীঝড় ‘ফণী’র প্রভাব দেশের উপর থেকে মুখ-ফিরিয়ে নিলেও দিয়ে গেছে নি¤œচাপ। কখনো ভারি বৃষ্টি ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে সদ্য উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসারের নির্দেশ অনুযায়ী আবাদী ফসলের ক্ষতির পরিমাণ অনুসন্ধানের মাঠে কাজ করছে একাধিক টিম। গত দুইদিন যাবত ঘূর্ণীঝড় ‘ফনি’র প্রভাবে সারাদেশে লেগে আছে অঝোর বৃষ্টি। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, ১০ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। ঝড়ে লেগে থাকা নি¤œচাপ আরো ২/৩ থাকবে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। এবছর আলমডাঙ্গায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। বর্তমানে আবাদি ফসলের দাম কম হলেও ঝড়ের কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে কৃষকের। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ধেয়ে আসা ঘূর্ণীঝড় ‘ফণী’ দুর্বল হয়ে নিজ ক্ষমতা হারিয়ে মিশে গেছে ভুটান সাগরে। তবে বাংলাদেশের উপরে দিয়ে গেছে নি¤œচাপ। নি¤œচাপের কারণে গত দু’দিন যাবৎ থেমে থেমে বৃষ্টির ধারা অব্যহত আছে। এরই কারণে আলমডাঙ্গা উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমা হয়ে কাটা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই বৃষ্টি আরো দুইদিন অব্যহত থাকলে ধান থেকে চারা জন্মনিবে বলে এলাকার কৃষকরা জানায়। ‘ফনি’ ঝড়ের কারণে এলাকার অনেক আবাদী জমির ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। কিছু এলাকার ধানের জমিতে বেধেছে হাটু পানি। সঠিকভাবে পানি নিস্কাষণ না করায় কাটা মাড়াই করা সম্ভব না হওয়ায় কোটি কোটি টাকার লোকসান গুনতে হবে কৃষকের। কৃষক আজগার আলী জানান, ঘূর্ণীঝড় ‘ফণী’ নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষক। মাঠভরা ধান। এখনো ধান তেমন পাকেনি। ধানের শীষ ভারি হয়ে যাওয়ায় এখন একটু জোরে বাতাস হলেই মাটিতে লুটিয়ে যাবে গাছ। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলার কৃষকরা। নাগদাহ গ্রামের কৃষক সমসের আলী জানান, এ বছর তিন বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ধান মাত্র পাকা শুরু করেছে। ফলন খুব ভালো হয়েছে কিন্তু ঘূর্ণিঝড় হলে ধানগাছ সব পড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকলেও ঝড় না হয়ে নি¤œচাপের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এই ব্যাপারে আলমডাঙ্গা কৃষি অফিসার জানান, ঘূর্ণীঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশের তেমন আক্রমণ না করায় তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। ঝড়ের কারণে সারাদেশের সাথে লেগে থাকা নি¤œচাপের কারণে বৃষ্টির বদ্ধ পানি আটকে থাকায় ধানের ক্ষতির আশঙ্কা ছেড়ে দেওয়ার মত নেই। তবে আলমডাঙ্গা উপজেলায় ফসলের ক্ষতির কারণে একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।মেহেরপুর:ঘুর্ণীঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়ায় মেহেরপুরের পৃথক দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্মৃতি বিজড়িত দুটি গাছ উপড়ে গেছে। এর মধ্যে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি কদম গাছ এবং অপরটি হলো মেহেরপুর সরকারি কলেজের শহীদ রেজাউল চত্বরের শিশু গাছ। দুটি গাছই প্রতিষ্ঠান দুটির স্মৃতি বহন করে আসছিল। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো হওয়ায় গাছ দুটি উপড়ে যায়। এছাড়াও মেহেরপুরে ঘুর্ণী ঝড় ফণীর প্রভাব শুরু হয় শুক্রবার দুপুর থেকে। দুপুর থেকে কখনো গুড়ি গুড়ি আবার কখনো ভারী বৃষ্টি হয়। সাথে ছিল দমকা বাতাস। ফণীর প্রভাবে সারাদেশের মত মেহেরপুর মানুষের মধ্যেও ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে কাঁচা ঘরবাড়ি, টিনের ঘর বাড়ি থেকে মানুষ জনকে আশ্রয় সেন্টারে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিছু মানুষ মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভীপুর আশ্রয় সেন্টারে অবস্থান নিলেও অধিকাংশ মানুষ নিজ বাড়িতেই আতঙ্কে রাত কাটায়। অনেককে নির্ঘুম রাত কাটানোর কথাও শুনতে পাওয়া যায়। সবশেষে ফণী দুর্বল হয়ে শনিবার সকালে বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও মেহেরপুরে তার কোন প্রভাব দেখা যায়নি। শনিবার বিকাল থেকে মেঘও সরে গেছে। কিছুটা রোদের ঝিলিকও দেখা যায়।গাংনী:ভোর থেকেই ঘূর্ণীঝড় ফণীর প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হালকা ঝড়ো হাওয়ায় বোরো ধান ও আমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোর থেকেই এ বৃষ্টি ও হালকা বাতাস শুরু হয় গাংনীতে। বিকেল পর্যন্ত গাংনী উপজেলার কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। শনিবার দিবাগত রাতে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বামন্দী নামকস্থানে গাছ পরে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম সাহাবউদ্দীন জানান, গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বেশ কিছু গাছ ভেঙ্গেছে, আম ও বোরো ধানসহ উঠতি মৌসুমী কৃষি আবাদের ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঠিক কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষে থেকে ফণীর ক্ষয়ক্ষতি থেকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় একটি কণ্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ রাখার ব্যবস্থা করা হয়। তাছাড়া ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ঝিনাইদহ:ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে যেকোনো ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিল ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন। জেলার ছয় উপজেলা প্রশাসনও প্রস্তুত ছিল। শুক্রবার দুপুর থেকে গোটা জেলায় বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। শনিবার সকালের দিকে ঘূর্ণীঝড় ফনির প্রভাব শুরু হলে বৃষ্টিপাত ও হাওয়ার গতি কিছুটা বেড়ে যায়। তবে কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ফণী তান্ডবে সারাদেশে নিহত ১৬; ক্ষয়ক্ষতি:বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণীঝড় ‘ফণী’ দীর্ঘ পথপাড়ি দিয়ে শনিবার সকালে বাংলাদেশে আঘাত হানে। ‘ফণী’র প্রভাবে গতকাল দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির সময় বজ্রাঘাত এবং ঝড়ো হাওয়ায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে- ভোলা ১, লহ্মীপুরে ১, নোয়াখালীতে ২, বাগেরহাটে ১, কিশোরগঞ্জে ৬, নেত্রকোনায় ১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১, পটুয়াখালীতে ১ ও বরগুনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও ঘূর্ণীঝড় ফণীর আঘাতে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে শত শত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। নোয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর, বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে এবং দমকা বাতাসে ঘরবড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।