নিউজ ডেস্ক:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান শূন্য পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে (প্রধান শিক্ষক পদে) চলতি দায়িত্ব দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে প্রথামিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন, প্রশাসনিক ও সার্বিক ব্যাবস্থায় সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে যেসব জেলায় প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ওই পদে সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আদালতে মামলা থাকায় দীর্ঘ আট বছর সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষকদের পদ পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
সারা দেশে কয়টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে প্রায় ২১ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। তার মধ্যে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ না হওয়া শূন্যপদ রয়েছে প্রায় ১৬ হাজার। এই ১৬ হাজারের মধ্যে মঙ্গলবার ঢাকা জেলায় ৮৭ জনকে নিয়োগের আদেশ জারি করা হবে। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অন্যান্য জেলা থেকে শিক্ষকদের গ্রেডেশনের তালিকা পেলে সেখানেও প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হবে।
কোন্ প্রক্রিয়ায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, দুটি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। মোট শূন্য পদের ৩৫ শতাংশ পিএসসির (সরকারি কর্ম কমিশন) মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হয়। আর বাকি ৬৫ শতাংশ সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আতিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার প্রমুখ।