নিউজ ডেস্ক:
মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র তুরস্ক। আর দেশটির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের নেতৃত্বে ক্রমেই সামরিক শক্তিতে বলীয়ান হচ্ছে তুরস্ক।
সোমবার থেকে তুরস্কের এজিয়ান প্রদেশের ইজমির শহরে শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের সামরিক মহড়া। এতে দেশটির অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ওটোকার’ নির্মিত অত্যাধুনিক সাঁজোয়া যান প্রথমবারের মতো প্রদর্শন করা হচ্ছে।
তুরস্কের বন্ধু ও সহযোগী দেশগুলোর অংশগ্রহণের মাধ্যমে সোমবার শুরু হওয়া এই সামরিক মহড়া ১১ মে পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে দেশটির সশস্ত্রবাহিনী।এই মহড়া ও অনুশীলনের একটি পর্বে সম্মিলিত সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
এই প্রদর্শনীতে তুরস্কের ওটোকারসহ ৩৫টি সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। প্রদর্শনীতে ওটোকার প্রথমবারের মতো তাদের তৈরী ‘কোবরা-২’ নামের অত্যাধুনিক সাঁজোয়া যান প্রদর্শন করছে।
উল্লেখ্য এই সাঁজোয়া যানটি তুরস্কের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মাণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সামরিক ঘাঁটি ও সামরিক অভিযানে থাকা সৈন্যদের কাছে গোলাবারুদ, জ্বালানি, খাদ্য ও পানি নিরাপদে পৌঁছানোর জন্য অত্যাধুনিক এই সাঁজোয়া যান ব্যবহৃত হবে। এটি উচ্চমানের সামরিক রণকৌশল বাস্তবায়নের উপযুক্ত এবং আড়াই টন গোলাবারুদ বহন করতে সক্ষম। এই সাঁজোয়া যানটি দিন বা রাত্রীকালীন অভিযান, সমতল ও পার্বত্য ভূখণ্ড, প্রতিকূল আবহাওয়ায়ও ব্যবহার উপযোগী।
উচ্চগতিসম্পন্ন এই সামরিক যানটি শহর ও গ্রামে উভয় জায়গাতেই ব্যবহার করা যায়। তা ছাড়া উপযুক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই সাঁজোয়া যান নিজের আত্মরক্ষায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুলি করার ক্ষমতাসম্পন্ন এবং এতে শত্রুর বিমান আক্রমণ প্রতিহত করার সরঞ্জামও সংযোজন করা হয়েছে। এটি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে এবং এর পাল্লা ৭০০ কিলোমিটার। এটি দিয়ে ১২০ মিলিমিটারের মর্টারের পাশাপাশি ৫.৫৬ ও ৭.৬২ মিলিমিটারের কামানও চালানো যায়।