নিউজ ডেস্ক:
শাক অতি সহজলভ্য এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখা ক্ষেত্রে এটির বিকল্প নেই! শাকে রয়েছে হাজারও পুষ্টিগুণ। জেনে নিন কয়েকটি কমদামী শাকের পুষ্টিগুণ-
কলমি শাক : কলমি শাকের রয়েছে নানান গুণ। গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে পানি আসে। কলমি শাক বেশি করে রসুন দিয়ে ভেজে তিন সপ্তাহ খেলে পানি কমে যায় অনেক ক্ষেত্রে। প্রসূতি মায়েদের শিশুরা যদি মায়ের দুধ কম পায় তাহলে কলমি শাক ছোট মাছ দিয়ে রান্না করে খেলে মায়ের দুধ বাড়ে। কোষ্ঠ কাঠিন্য হলে কলমি শাকের সঙ্গে আখের গুড় মিশিয়ে শরবত বানিয়ে সকাল-বিকাল এক সপ্তাহ খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। আমাশয়ও এ শরবত কাজ করে।
পালং শাক : পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং আয়রন। এজন্য পালং শাক খেলে রক্তে আয়রনের মাত্রা বেড়ে যায়। পালং শাক অন্ত্রের ভেতরে জমে থাকা মল সহজে বের করে দিতে সহায়তা করে। যার কারণে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য এ শাক খুব উপকারী। পালং শাকের বীজ কৃমি ও মূত্রের রোগ সারায় ও এর কচি পাতা ফুসফুস, কণ্ঠনালীর সমস্যা, শরীর জ্বালাপোড়া সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এই শাক বিশেষ উপকারী।
লালশাক : আমাদের অনেকেরই অতি প্রিয় একটা শাক হচ্ছে লাল শাক। খেতে চমৎকার হওয়ার পাশাপাশি লাল শাক রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। ফলে যাদের রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া আছে তারা নিয়মিত লাল শাক খেলে রক্তস্বল্পতা পূরণ হয়।
সরিষার শাক : সরিষার শাক খেলে রক্তে উপকারি এইচডিএল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায় এবং এই শাক দেহে ভিটামিন ডি তৈরিতেও সহায়তা করে। সরিষার তেল যেমন খাবারে আনে ভিন্ন স্বাদ, তেমনি সরিষার শাকেও পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও স্নেহ জাতীয় ভিটামিন।
কচু শাক : কচু শাকে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। এ শাকের লৌহ দেহ কর্তৃক সহজে বিপাকিত হয়। এছাড়া জ্বরের সময় রোগীকে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য দুধ কচু খাওয়ালে বেশ উপকার পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে ওল কচুর রস উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে প্রতিষেধক হিসেবে খাওয়ানো হয় এবং এতে বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।