দর্শনা শান্তিপাড়ার হৃদয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা
নিউজ ডেস্ক:দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর বেলেমাঠ সংলগ্ন স্থানে পাকা রাস্তার পাশ থেকে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও এলাকার চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ ১৪ মামলার আসামী দর্শনার শান্তিপাড়ার হৃদয়ের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা গেছে হৃদয়। সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা, চুরি-ডাকাতি ছিনতাই, রেল ইয়ার্ডের ওয়াগন ভেঙে মালামাল চুরিসহ একাধিক অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল। তাদের হাতেই হয়তো মৃত্যু হয়েছে তার। পরিবারের দাবি সাদা পোষাকে পুলিশের লোকজন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।
গত পরশু বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর বেলেমাঠ সংলগ্ন স্থানে পাকা রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায় দর্শনা পৌর এলাকার শান্তিপাড়ার বাচ্চু মিয়ার ছেলে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী হৃদয়ের (২২) গুলিবিদ্ধ লাশ। এসময় পুলিশকে খবর দিলে দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের ওসি (তদন্ত) ইউনুচ আলী ও দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ যৌথ উদ্যোগে লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২টি কার্তুজের খালি খোসা উদ্ধার করে। তার নামে মাদক, মারামারি, ছিনতাই, ডাকাতি প্রস্তুতি ও ডাকাতিসহ মোট ১৪টি মামলা রয়েছে।
হৃদয়ের মা শিরিনা খাতুন দাবি করেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শান্তিপাড়ার ফারুকের দোকানের পিছন থেকে কয়েকজন সাদা পোশাকধারী পুলিশ আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় এলাকার কয়েকজন দেখলে আমাদের বাড়িতে খবর দিলে আমরা দর্শনা তদন্ত কেন্দ্র, দামুড়হুদা মডেল থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করি। কিন্তু পুলিশ বলে আমরা এ নামের কাউকে আটক করিনি। তারপর আমার ছেলের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
এদিকে গতকাল শুক্রবার সকালে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-৫০) দায়ের করেছেন। মামলায় কোন আসামীর নাম উল্লেখ না করা হলেও অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলাটি রুজু করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কমকর্তা এসআই মিল্টন সরকার বলেন, দর্শনা শান্তিপাড়ার মিল্টনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার পরিবার মামলা করতে অপারগতা প্রকাশ করায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিহত হৃদয় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা, চুরি-ডাকাতি ছিনতাই, রেল ইয়ার্ডের ওয়াগন ভেঙে মালামাল চুরি, মারামারিসহ একাধিক অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল। এরমধ্যে যে কোন বিষয় নিয়ে সৃষ্ট গোলযোগের কারণে হয়তো প্রতিপক্ষের লোকজনের সাথে গোলাগুলিতে তাদের হাতেই মৃত্যু হয়েছে হৃদয়ের। নিশ্চিত করে এখনই তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে; তদন্ত শেষ হলে প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।