কালীগঞ্জে র্যাব-৬’র সাথে বন্দুক যুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ি ছব্দুল নিহত হওয়ার পরে মাদক ব্যবসায়িরা আতœগোপনে
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের তালিকা ভুক্ত মাদক ব্যবসায়িরা এবার আতœগোপনে। পুলিশ সাড়াশি অভিযানের মাধ্যমে অনেক খুঁজাখুঁজি করলে ও তাদেরকে খুঁজে পাচ্ছে না। বিশেষ করে ২১ মে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি ছব্দুল মন্ডল র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ক্রস ফায়ারে নিহত হওয়ায় কালীগঞ্জের বড় বড় মাদক ব্যবসায়িরা গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ ও মরিয়া তাদের কে ধরার জন্য। কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, গত ১৯ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত মাদকের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিজান চালানো হচ্ছে । ১৯ তারিখে ৪ টি মাদক মামলা, গাঁজা ১৫০ গ্রাম, ৩৫ টি ইয়াবাসহ ১১ জন কে গ্রেফতার করা হয় । ২০ মে ৩টি মাদক মামলা, ১২৫ গ্রাম গাঁজা, ২৫ টি ইয়াবা, ২ জন সাজা প্রাপ্ত ও ১২ জন ওয়ারেন্ট ভুক্ত মামলার আসামী কে গ্রেফতার করে । ২১ মে ৫ টি মাদক মামলা, ১০০ গ্রাম গাঁজা, ১১০ বোতল ফেনসিডিল, ১৬৬ পিচ ইয়াবা ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত ১২ কে গ্রেফতার করা হয় । ২২ মে ২ টি মাদক মামলা , ১৫০ ক্রাম গাঁজা, ১০ টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। গত কদিনে মাদকের বিরুদ্ধে অভিজান অব্যাহত থাকার কারনে মাদক বিক্রি হওয়া এলাকায় দেখা গেছে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়িরা বাড়ি ছেড়েছে। আবার বাস টার্মিনাল, আড়পাড়া, নদীপাড়া, কাশিপুর এলাকায় সেবন ও বিক্রেতাদের আনাগোনা নেই। বিশেষ করে ছব্দুল মন্ডল বন্দুক যুদ্ধে নিহত হবার পরে মাদক ব্যবসায়িরা ঘর বাড়ি ফেলে পালিয়েছে। কালীগঞ্জ পুলিশের খাতায় ৫৫ জন রাঘোব বোয়াল মাদক ব্যবসায়ি রয়েছে। এসব ব্যবসায়িরা কেউ বাড়িতে নেই। আবার না থাকার পিছনে রয়েছে অসাধু পুলিশের গোপন আতাত। এসব পুলিশ তাদের কে আগেই সরিয়ে দিয়েছে। যেমন নরেন্দ্রপুরের ছব্দুল মন্ডলের মাদক পাটনার এলাকায় রয়েছে। বিশেষ করে নকল ইয়াবা তৈরিকারি আড়পাড়ার গ্রামের জাহাঙ্গির, টুনু, জাক্কু, ল্যাদা, মিজানসহ ৫৫ জন মাদক ব্যবসায়ি রয়েছে । আবার গত ৩ দিন হল কালীগঞ্জ শহর ও মাদক বিক্রি এলাকা গুলো বহিরাগত ও অপরিচিত কোন মানুষের চলাচল নেই। তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়িদের বাড়ি ঘর তালা বদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। কালীগঞ্জের সচেতন মহল বলছেন, পুলিশ ঠিক তো সব ঠিক । এভাবে অভিজান অব্যাহত থাকলে কালীগঞ্জ মাদক নির্মুল হবে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, মাদকের সাথে কোন আপোশ নেই। মাদক সেবন ও বিক্রেতা যেই হোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে ।