নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ পুলিশের পরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। কিন্তু পুলিশের আইজি, ডিআইজিসহ সকল কর্মকর্তা রাস্তায় রয়েছে। তারা সবাই সারারাত জেগে কাজ করেছে এবং আজ সকাল থেকেই তারা রাস্তায় কাজ করছেন। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন সে জন্য তারা কাজ করছেন।
এ জন্য তিনি সকল পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। তিনি মঙ্গলবার বিকেলে মহাসড়কে যানজট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে এসে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ঈদের সময় প্রায় কোটি লোক ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যায়। তারা যেন নিরাপদে যেতে পারে এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। একই সাথে এতগুলো গার্মেন্টস ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। তারাও নিরাপদে নির্বিঘ্নে যেতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে গাজীপুর পর্যন্ত কোথাও কোন যানজট নেই। কোন রকমের প্রতিবন্ধকতা নেই। মাত্র ২০-২৫ মিনিটে ঢাকার মিন্টু রোড থেকে গাজীপুর পর্যন্ত এসেছি। ঈদের পরেও ঘরমুখী মানুষ আবার তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসবে আমাদের এই সকল কর্মকর্তা তাদের কারো ঈদ নেই, কারো ছুটি নেই। সব কিছু ফেলে রেখে জনগণের জন্য আমরা এ সার্ভিসটা দিয়ে যাচ্ছি। যাতে সবাই নির্বিঘ্নে ঘরে পৌঁছাতে পারেন।
পরিদর্শনকালে আইজিপির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও মো. গোলাম সবুর প্রমুখ।
আইজিপি বলেন, আগস্ট শোকের মাস। আমরা ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট দুটি শোকাবহ দিন হিসেবে পালন করেছি। আমরা মনে করিনি কোন ধরণের হুমকি আছে। আমরা প্রত্যেকটি হুমকি, কি ধরনের হুমকি হতে পারে, সম্ভাব্য প্রত্যেকটি হুমকিকে গণনায় নিয়ে সেটাকে মাথায় রেখে পরিকল্পণা গ্রহণ করেছি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। সে জন্যই খুব নির্বিঘ্নে ১৫ আগস্টের প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান এবং ২১ আগস্টের প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি যে পরবর্তী যে দিনগুলো আছে সেগুলোও আমরা সঠিকভাবে পালন করতে পারবো। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের পরিকল্পনা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সবাইকে আমরা দিতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহায় দুটি চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে সবাই ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যায়। আর পশু শহরমুখী হয়। বিভিন্ন উৎস থেকে পশুবাহী যানবাহন ঢাকায় আসে। এ দুটি চ্যালেঞ্জ এবার ঈদুল আজহাতে ছিল। আমরা এ দুটি চ্যালেঞ্জকেই সঠিকভাবেই মোকাবেলা করতে পেরেছি। আমরা ঈদের মার্কেটের সাথে সাথে প্রত্যেকটি পশুর মার্কেটেও নিরাপত্তা সঠিকভাবে দিয়েছি।
আইজিপি বলেন, এক সঙ্গে লক্ষ লক্ষ লোক রাস্তায় নেমে আসবে, এক সাথে অনেকগুলো গাড়ি রাস্তায় আসবে এতে কিছুটাতো গাড়ি ধীরগতি সম্পন্ন হবেই। রাস্তায় যানবাহনের গতি কিছুটা মন্থর ছিল। তবে কোথাও কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়নি। তবে ঘাটে কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। বিশেষ করে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া ঘাটের ওই পারে প্রচণ্ড ভীড়ে এবং লোড আনলোডের কারণে ৩০-৪০ মিনিট সময় লেগে গেছে। যেজন্য কিছুটি দীর্ঘ সারি এপারে ওপারে হয়ে গেছে। এটাতে আমাদের করণীয় কিছু ছিল না। প্রকৃতির কাছে আমরা অসহায় ছিলাম।