নিউজ ডেস্ক:
পারস্য উপসাগরে মার্কিন সেনা বাহিনীর কপ্টার থেকে ইরানের জাহাজের দিকে গুলি ছোঁড়ার ঘটনাকে ‘যুদ্ধের উস্কানির’ শামিল বলে উল্লেখ করে একে ‘অপেশাদার’ আচরণ বলে উল্লেখ করেছে ইরান।
তবে পারস্য উপসাগরে নিজের ইরান বিরোধী উস্কানিমূলক পদক্ষেপকে ‘পেশাদার’ বলে উল্লেখ করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী।
শনিবার ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি জানায়, পারস্য উপসাগরে একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এই বাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। এক সপ্তাহ আগেও মার্কিন যুদ্ধজাহাজ একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল।
আইআরজিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ ‘নিমিত্য’ থেকে একটি হেলিকপ্টার আকাশে উড্ডয়ন করে ইরানের ‘রেসালাত’ তেল ও গ্যাস প্ল্যাটফর্মের কাছ দিয়ে উড়ে যায় এবং আইআরজিসি’র একটি জাহাজের কাছাকাছি চলে আসে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই সময় সম্পূর্ণ অপেশাদার মনোভাবের পরিচয় দিয়ে ওই হেলিকপ্টার থেকে সতর্কতামূলক গুলি ছোঁড়া হয়। কিন্তু আইআরজিসি’র জাহাজটি পেশাদার মনোভাবের পরিচয় দিয়ে কোনো উস্কানিমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে সাগরে নিজের টহল অব্যাহত রাখে।
অন্যদিকে মার্কিন নৌবাহিনীর মুখপাত্র ইয়ান ম্যাকোন্যাগি তাদের যুদ্ধজাহাজের এই পদক্ষেপকে ‘পেশাদার ও নিরাপদ’ বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে বাহরাইনে মোতায়েন আমেরিকার পঞ্চম নৌবহর দাবি করেছে, কয়েকটি ইরানি জাহাজ ‘অতি উচ্চ গতিতে’ মার্কিন যুদ্ধজাহাজের দিকে ধেয়ে আসছিল।
ইরান বহুবার আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, পারস্য উপসাগরের জলসীমায় মার্কিন বাহিনী কোনও হঠকারী পদক্ষেপ নিলে তার সমুচিত জবাব দিয়ে হবে। এ পর্যন্ত ইরানের নৌবাহিনী একাধিকার গানবোটসহ মার্কিন নৌবাহিনীর সদস্যদের আটক করেছে।
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর