লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাসী হইতে অংশারঝিরি- মালুম্যা হয়ে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ব্রিকসলিং রাস্তা। কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। ইতিমধ্যে রাস্তার কাজ শেষ করার পর পল্লী বিদ্যুৎ খুটির কাজ শুরু করে । এক পর্যায়ে রাস্তার মধ্যে খুটি স্থাপনা করায় যান বাহনসহ চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে করে এলাকাবাসী জনদুর্ভোগ কবলে পড়তে হয়েছে।কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কমনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন টানতে গিয়ে রাস্তার ঠিক মধ্যখানে একটি বিদ্যুৎ এর খুঁটি স্থাপন করে। উক্ত খুঁটির কারণে রাস্তাটি দিয়ে স্বাভাবিক গাড়ি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আর ভোগান্তিতে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়রা উক্ত খুঁটি তুলে ফেলার জন্য কয়েকবার চকরিয়া পল্লী বিদ্যুতের অফিসে গিয়েও কোন প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ করেছে। প্রশ্ন উঠেছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্বরত ব্যক্তিরা পাগল নাকি অন্ধ ?
স্থানীয় মো. শহীদ, এরশাদুর রহমান ও মমতাজ মিয়া সহ অনেকে বলেন, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন অনেক ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চলাচল করে। যে কোন সময় দুর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত উক্ত বিদ্যুতের খুঁটি তুলে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা পুণরায় সচল করা হউক। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ হোসেন মামুন বলেন, আমি নিজেও পল্লী বিদ্যুতের অফিসে গিয়ে কোন প্রতিকার পায়নি।
রাস্তার কাজ করা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসমাইল ট্রেডার্স এর পক্ষে ওসমান গণি বাদশা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কাজটা অত্যান্ত দুঃখজনক। দ্রুত রাস্তার মাঝ থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করছি।
ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, আমি বিষয়টি অনেকবার ফোনে পল্লী বিদ্যুতের চকরিয়া অফিসের এজিএম হামিদুল হাসানের সাথে কথা বলেছি। কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
চকরিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম হামিদুল হাসান জানান, বিদ্যুতের খুঁটি যেহেতু বসানো হয়ে গেছে এখন সরানোর সুযোগ নেই। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বরাবর আবেদন করলে প্রতিকার পেতে পারে।