চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ‘চুয়াডাঙ্গা পৌর শহর থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান শুরু হয়েছে। এর বিস্তৃতি ছড়িয়ে দিতে হবে জেলাজুড়ে। শুধু চুয়াডাঙ্গা নয়, সয পৌরসভায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নিতে হবে। পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করতে হবে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দুষণ না করে মানুষ যেন নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে পারে, এ জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিচ্ছন্নতার অভিযানকে আন্দোলনে পরিণত করতে হবে।’ গতকাল রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় পৌর মেয়রদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ‘চুয়াডাঙ্গা পৌর শহর থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান শুরু হয়েছে। এর বিস্তৃতি ছড়িয়ে দিতে হবে জেলাজুড়ে। শুধু চুয়াডাঙ্গা নয়, সয পৌরসভায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নিতে হবে। পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করতে হবে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দুষণ না করে মানুষ যেন নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে পারে, এ জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিচ্ছন্নতার অভিযানকে আন্দোলনে পরিণত করতে হবে।’ গতকাল রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় পৌর মেয়রদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি। পরিচ্ছন্নতার এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘পরিপাটি ও সুন্দর পরিবেশে বসবাস করার অধিকার রয়েছে সব নাগরিকের। তাঁদের অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ সৌন্দর্য বর্ধনে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। তবে অনেকেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সড়কের ওপর বালু ও পাথর রেখে সৌন্দর্য্য নষ্ট করছেন।’ এ প্রসঙ্গে বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, বালু, পাথর বা অন্য নির্মাণ-সামগ্রী সড়কের ওপর রাখা যাবে না। এতে যেমন সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়, তেমনি সড়কেরও ক্ষতি হয়। তাই এসব মালামাল সরিয়ে নিতে হবে। তা না হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, সদর হাসপাতালের কার্যক্রম নিয়ে বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ১ শ শয্যার কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি রয়েছে। নতুন ভবন ব্যবহার শুরু হলে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল পরিচালনার অনুমতিও পাওয়া যাবে। তাই আপাতত জরুরি বিভাগ, সার্জারি বিভাগ ও গাইনি বিভাগ স্থানান্তর করে নতুন ভবনে নেওয়া হচ্ছে। ২৫০ শয্যার হাসপাতাল পুরোদমে চালু করার জন্য যে জনবল প্রয়োজন, তার জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হলে প্রশাসনিক অনুমতির আবেদন করা যাবে। এ ছাড়া সদর হাসপাতাল সড়কে একমুখী চলাচল ব্যবস্থা জোরদার করা ও সড়কের কোল ঘেঁষে থাকা স্থাপনাগুলো সরিয়ে রাস্তা প্রশস্তকরণের ব্যাপারে আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আজ সোমবার থেকে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত একমুখী চলাচল ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সড়কের কোল ঘেঁষে থাকা স্থাপনা বা বর্ধিত অংশগুলো সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা তাঁদের বক্তব্যে ‘ভিলেজ-২০৪১, আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে নিজেদের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে এডিবির অর্থ পেয়েছি। এর মাধ্যমে শিগগিরই জীবননগর, দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গায় পৃথক তিনটি গ্রামে কাজ শুরু হবে।’ এসব গ্রামগুলোকে দাপ্তরিক কাজে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, চুয়াডাঙ্গা ভিমরুল্লাহ জেলা কারাগারের পাশ্ববর্তী স্থানে পাসপোর্ট অফিস নির্মাণের জন্য টেস্ট পাইলিং শুরু হয়েছে। যা শেষ হলে পাইলিং কার্যক্রম শুরু হবে। এ ছাড়া জেলা রেজিস্ট্রি অফিস নির্মাণের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে।জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেমদ জানান, বাংলাদেশি নাগরিক ব্যতীত অন্য কেউ যেন ভোটার হতে না পারে, সে দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে কোনো রোহিঙ্গা যেন বাংলাদেশি নাগরিক সেজে ভোটার না হতে পারে, তার জন্য ভোটার নিবন্ধনে বিশেষ কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খানের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আয়ুব আলী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তীসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।