আলমডাঙ্গায় পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে
নিউজ ডেস্ক:রমজানের শুরু থেকেই আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রতিটি হাটবাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য চিনি, ছোলা, চাল ডালসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রী গত কয়েকদিনের ব্যবধানে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচার-প্রচারণা থাকলেও তা কাজে আসেনি। বরং প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অতিরিক্ত মূল্য হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে হরহামেশায়। রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে পৌরসভার পক্ষ থেকে হাট-বাজারে মাইকিং করা হলেও তা মানছে ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে সরকারিভাবে গরীব-দুস্থদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি ও টিসিবির কার্যক্রম চালু না হওয়ায় বাজারে ক্রেতা সাধারণ ন্যায্য মূল্যে পণ্য ক্রয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নিত্যপণ্য সামগ্রীর মূল্য হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পাওয়ায় গরীব-দুস্থরা তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে রাতারাতি বাজারের দৃশ্যপট পাল্টিয়ে যায়। চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ সমস্ত পণ্যসামগ্রীর মূল্য হু-হু করে বাড়তে শুরু করে। গত এক সপ্তাহ আগের বাজার দর থেকে বর্তমান বাজার দর কেজি প্রতি ৮-১০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাল, ডাল, ছোলা, মুড়ি, ময়দা, রসুন, পিঁয়াজ, ভোজ্য তেল, কাঁচা মরিচ, রসুন ইত্যাদির দাম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ক্রেতা সাধারণ বাজারে তাদের নিত্যপণ্য সামগ্রী কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। সরকার প্রতি বছর রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ মনিটরিং কমিটি ও টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে পণ্য সামগ্রীর বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করলেও উপজেলার ক্ষেত্রে তার চিত্র উল্টা। টিসিবির নির্ধারিত ডিলার থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে ডিলার পণ্য বিক্রি না করায় সাধারণ মানুষ সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অন্যদিকে বাজার মনিটরিংয়ের নামে বিশেষ একটি কমিটি থাকলেও সে কমিটির কার্যক্রম তেমন একটা চোখে পড়ে না। এখনও পর্যন্ত টিসিবির কার্যক্রম চালু না হওয়ায় বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। এদিকে, আকাশচুঁম্বি পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে গরীব, দুস্থ সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজিতে ছোলার দাম বেড়েছে ৫-৭ টাকা।