বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত ও আহতদের তথ্য চেয়ে সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও কবরস্থানসহ সকল জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
সোমবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কোনো আসামি চাইলে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন।
তিনি আরও জানান, ক্ষমতায় টিকে থাকতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালায় আওয়ামী প্রশাসন।
এতে প্রাণ হারান হাজারের বেশি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। আহত ও পঙ্গুত্তবরণ করে অন্তত ২৫ হাজার ছাত্র জনতা।
এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটনের দায়ে গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের অন্তত ১১টি অভিযোগ জমা পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। যেখানে আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।
এরইমধ্যে এসব অভিযোগ মামলা আকারে গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। সকালে এসব মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানাতে এক ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর জানান, আন্দোলনে হতাহতের তথ্য সংক্রান্ত সংবাদের ভিডিও ফুটেজ ও তথ্য চেয়ে সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কাছে চিঠি দিয়েছে তদন্ত সংস্থা।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিচার প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা হবে তবে তড়িঘড়ি করা হবে না। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কোনো আসামি যদি বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করে, সেক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের কোনো আপত্তি থাকবে না বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।
এ আইনজীবী আরও বলেন, গণহত্যা হয়েছে সারা দেশে। সে জন্য তদন্ত শেষ করতে দিনরাত কাজ করবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।