নিউজ ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রে বহু আলোচিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১০ কোটি আগাম ভোট পড়েছে। দেশটির নাগরিক ও বর্হিবিশ্বে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে; হোয়াইট হাউসের নেতৃত্ব কে দেবেন? যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে বিবিসির উত্তর আমেরিকা সংবাদদাতা জন সোপেলের একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করা হয়েছে।
১. জো বাইডেনের সহজ জয়: প্রথম দৃশ্যকল্পে দেখা যেতে পারে জনমত জরিপ ঠিক ছিল এবং জো বাইডেন বেশ সহজে জয়লাভ করেছেন।
২. ট্রাম্পের হতবাক করা জয়: ২০১৬ সালের মতোই জনমত জরিপ ভুল প্রমাণিত হবে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবেন। তার জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে পেনসিলভেনিয়া এবং ফ্লোরিডার ফল।
৩. জো বাইডেনের বিপুল বিজয়: জো বাইডেন কেবল যে জিতবেন তাই নয়, তিনি জিতবেন বিপুল ব্যবধানে- এটাও একটা সম্ভাবনা। ১৯৮০ সালে জিমি কার্টারের বিরুদ্ধে রোনাল্ড রেগ্যানের যেরকম ধস নামানো বিজয়, অনেকটা সেরকম। অথবা ১৯৮৮ সালে মাইকেল ডুকাকিসের বিরুদ্ধে জর্জ বুশের বিজয়।
তবে একেবারে অভাবিত আরেকটি ফল হতে পারে এরকম: যেহেতু নেব্রাস্কার ইলেক্ট্রোরাল কলেজ ভোট ভাগাভাগি হয়, কাজেই এমন একটা অবস্থা দাঁড়াতে পারে যেখানে দুই প্রার্থীই সমান সংখ্যক ইলেক্ট্রোরাল ভোট পেলেন। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে জেতার জন্য ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের ম্যাজিক সংখ্যাটি হচ্ছে ২৭০।
এই পরিমাণ ইলেক্ট্রোরাল কলেজ ভোট পেলেই একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিশ্চিতভাবে জয়ী হয়েছেন বলে দাবি করতে পারেন। কিন্তু নেব্রাস্কার ভোট ভাগাভাগি হয়ে ট্রাম্প এবং জো বাইডেন দুজনেই ২৬৯টি করে ইলেক্ট্রোরাল ভোট পেতে পারেন, এটাও একটা সম্ভাবনা।
আজ পর্যন্ত এরকম ঘটেনি। আমি বলব এর সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু একেবারে অসম্ভব বলা যাবে কি? মনে রাখবেন, এটা কিন্তু ২০২০ সাল।
গত ১৪০ বছরে মাত্র একবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে। ২০০০ সালে ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী আল-গোরকে পরাজিত করেন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। ফ্লোরিডায় ভোট পুর্নগণনাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিমকোর্টের রায়ে তিনি হেরে যান।