নিউজ ডেস্ক:
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে স্ত্রী দাবি করার অভিযোগে শাওনের বিরুদ্ধে করা মামলাটির পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৫ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদনটির বিষয়ে শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন। ওইদিন চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করলে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পাবেন শাওন।
গত ৩১ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলামের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোহরাব মিয়া শাওনকে অব্যাহতির আবেদন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মাহির সঙ্গে স্বামী দাবিদার শাওনের বিয়ে হয়েছিল বলে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়। অভিযোগটি তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হওয়ায় শাওনকে মামলার দায় হতে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত কর্মকর্তার দেওয়া প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৫ মে কাজী মো. সালাউদ্দিন ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে শাওন ও মাহির বিয়ে সম্পন্ন হয়। ভলিউম নং ১৮৬/১৫, পৃষ্ঠা ৬৫-তে এ বিয়ের রেজিস্ট্রার হয় এবং তদন্ত কর্মকর্তা এ বিয়ের রেজিস্টার জব্দ করে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এসআই সোহরাব বলেন, ‘শাওন ও মাহির বিয়ে হয়েছে। এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র আমি নিজেই জব্দ করেছি।’ তাদের বিয়ের মাসখানেকের মধ্যে চলচ্চিত্রে কাজ করা নিয়ে বিবাদীর সাথে বিবাদে জড়ালে তারা আলাদাভাবে বসবাস শুরুসহ খোলা তালাক কার্যকর করা হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। পরবর্তী সময়ে মাহি গত বছরের ২৫ মে আবার বিয়ে করেন বলেন জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৮ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় নায়িকা মাহি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন।
জানা যায়, মাহির স্বামী দাবিদার শাওনকে গত বছরের ৫ জুন বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল জামিন দেন। এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ মে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় স্বামী দাবিদার শাওনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন নায়িকা মাহি। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই শাওনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ শাওনের দক্ষিণ বাড্ডার বাসা থেকে কম্পিউটার জব্দ করে।