নিউজ ডেস্ক: টিকটকের মডেল বানানো ও ভারতে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভনে নারীপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের মামলায় ‘মূলহোতা’ আশরাফুল ইসলাম ওরফে বস রাফি ও আব্দুর রহমান শেখ ওরফে আরমানসহ দুইজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামি দুইজনকে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম আসামি বস রাফির এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার আসামি আব্দুর রহমানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এ ছাড়া একই মামলায় বস রাফির সহযোগী সাহিদা বেগম ওরফে ম্যাডাম সাহিদা (৪৬) ও মো. ইসমাইল সরদারকে (৩৮) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তবে তারা কেউ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।
এর আগে গত ২ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইয়াসমিন আরা আসামিদের পাঁচদিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী শহর বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশের তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে সে দেশের পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারের এ খবর জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশও। এ ঘটনায় দুই দেশেই মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত ২৭ মে ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা ডিএমপির হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেছেন। এরপর বিভিন্ন স্থান থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
অপরদিকে ১ জুন রাতে নির্যাতনের শিকার এক তরুণী রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১ জুন রাতে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী দাবকপাড়া কালিয়ানী এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর মধ্য দিয়ে এই ঘটনায় ভারতে মোট ছয়জন এবং বাংলাদেশে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
উল্লেখ্য, যৌন নির্যাতনের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে তানিয়াকে দেখা গেছে। সেখানে নির্যাতনকারীদের সহযোগী হিসেবে দেখা গেছে তানিয়াকে। মাত্র ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে চক্রটি রাফির কাছে বাংলাদেশ থেকে নারী পাচার করত বলে জানিয়েছে র্যাব।