গত জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্রদের আন্দোলনের সময় মিছিল থেকে অপহরণ করে আটকে রেখে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নাটোর-২ আসনের সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় হত্যার অভিযোগে পৃথক দুটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাটোর সদর থানায় হাজির হয়ে নিহত আন্দোলনকারী মিকদাদ হোসাইনের বাবা জামাত নেতা দেলোয়ার হোসেন খান ও নিহত লেদ মিস্ত্রি শরিফুল ইসলাম মোহনের (৪২) বড় ভাই এস এম সেলিম মাসুম এজাহার দুটি দাখিল করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী সরকার পতনের দিন দুপুরে আসামিরা শহরের ছায়াবানী মোড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল থেকে হত্যার উদ্দেশ্য অপহরণ করে সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের জান্নাতি প্যালেসে আটক করে রাখে মিকদাদ ও মোহনসহ আরো কয়েকজন আন্দোলনকারীকে।
বিকালে সরকার পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র-জনতা সাবেক এমপি শিমুলের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে নিজ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে অন্য আসামিদের নিয়ে পালিয়ে যায় শিমুল।
এ সময় মিকদাদ ও মোহন বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে ঘরে দেওয়া আগুনে পুড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় সদর থানায় পৃথক দুটি মামলার এজাহার দাখিল করা হয়।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, এজাহার দুটি গ্রহণ করা হয়েছে। মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।