পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানাযায়,শহরের চকরামপুর এলাকায় জেনারেল নামে ওই বেসরকারী হাসপাতালের ম্যানেজার মিতা সহ তিন নারী কর্মী বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভবনের ৫ম তলার কক্ষে ঘুমাতে যায়। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে তারা ঘুম থেকে উঠে যার যার কাজ শুরু করেন। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ম্যানেজার মিতা খাতুন ৫ম তলার কক্ষে যায়। কিন্তু সে দীর্ঘসময় ধরে ফিরে না আসায় সহকর্মীরা খোঁজ নিতে গিয়ে তার গলাকাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে উর্ধতন কর্মকর্তা সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আজিজ মোল্লা জানান, নলডাঙ্গা উপজেলার নসরতপুর গ্রামের মিতা তার প্রতিষ্ঠানে প্রায় দু বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। তার সাথে কারো কোন বিরোধ ছিল বলে তার জানা নেই। তার ধারনা দুর্বৃত্তরা কোন রোগীর পরিচয়ে ভিতরেই অবস্থান করছিল এবং তারাই মিতাকে একা পেয়ে গলা কেটে হত্যা করে বলে তার ধারনা। সিসি ক্যামেরা দেখে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) কাজী জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা দেখে দুর্বৃত্তদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।