নিউজ ডেস্ক:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় গ্রামবাসী ১১টি গরু ও ৮টি ছাগল উদ্ধার করা সহ ৩ গরু চোরকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
গ্রামবাসীরা জানায়, মঙ্গলবার (১৮ আগষ্ট) গভীর রাতে উপজেলার জামনগর ত্রিমোহনিয়া গ্রামে গরু চোর সন্দেহে গ্রামবাসী ধাওয়া করে পার্শ্ববর্তী বাঘা উপজেলার গোচর গ্রামের নাজের আলীর ছেলে মামুন (৩০) ও কায়েম উদ্দিনের ছেলে আল-মামুন ওরফে কালু (৫০) কে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিলে তারা গরু চুরি করতে এসেছিল এবং বিভিন্ন সময় চুরি করা গরু ও ছাগল কোথায় সরবরাহ করে সেমর্মে স্বীকারোক্তি দেয়।
তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক গ্রামবাসী তাদের সহযোগী পার্শ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার দাসের চক গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে আশরাফ আলী (৪০) কে আটক করে।
তারা আরও বলেন, বুধবার ১৯ আগস্ট সকালে তাদের জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর নিকট সোপর্দ করে। এলাকাবাসী দাসের চক বিল ও আশরাফ আলীর বাড়িসহ ২/৩ জনের বাড়ি থেকে চোরাই সন্দেহে ৯টি গরু ও ৮টি ছাগল এবং খোলা মাঠ থেকে আরো ২টি গরু উদ্ধার করে।
জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক আমার সংবাদ প্রতিনিধিকে বলেন, এই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে গরুচোরের উৎপাত বাড়ায় গ্রামবাসীরা উৎপেতে গতরাতে চুরিকৃত গরু-ছাগল সহ তিন গরু চোরকে আটক করে আমার ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। আটককৃত গরুচোর ও গরু-ছাগলগুলো জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে রাখা হয়। আমি থানা পুলিশে খবর দিলে। পরে আমি বাগাতিপাড়া মডেল থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ৩ গরু চোরকে থানার নিয়ে যায়।
এবিষয়ে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজমুল হক দৈনিক আমার সংবাদ কে মুঠোফোনে বলেন, এই উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের গরুচোর সহ কিছু গরু-ছাগল আটকের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক জামনগর ইউনিয়ন পরিষদে আমার থানার পুলিশ পাঠিয়ে তিনজন গরু চোর কে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গরু ছাগল চুরির মামলা প্রক্রিয়াধীন। গরু-ছাগল গুলির প্রকৃত মালিকের খোঁজ করা হচ্ছে। তদন্ত করে এগুলোর সঠিক শনাক্তকারী মালিকের পরিচয় পেলে আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের হাতে হস্তান্তর করা হবে।
ওসি আরো বলেন, এই গরু-ছাগল গুলো ঈদুল আজহার আগে ও ঈদের পরে চুরি হয়।