মোঃ সুমন আলী খাঁন ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। বাড়ছে চালের দাম। বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ টন চাল আমদানী করার পরও চালের বাজারে এর কোন প্রভাব পড়েনি। কোন ভাবেই চালের বাজার নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছেনা। মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে বিতরণের চাল আসলে তাহা চলে যাচ্ছে চালবাজীদের কবলে। চাল উৎপাদানে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরও অসাধু চাল ব্যবসায়ীর কারণে সেই ভোক্তা সাধারণ সুবিধা পাচ্ছেনা। গত ৪/৫ মাসে পাইকারী বাজারে চালের দাম বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে এর অতিরিক্ত প্রভাব পড়েছে। শহরের সব চেয়ে মিনিকেট চাল খুচরা প্রতি কেজি ৫৫/৬৫ টাকায় এখনো বিক্রি হচ্ছে। চালের এই খুচরা মূল্য সাম্প্রতিক সময়ের সর্বোচ্চ বলে ব্যবসায়ীরা জানান। তাদের মতে, পাইকারীতে চাল বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে চাল চড়া দামে বিক্রি বাধ্য হচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, বাজারের ব্যবস্থাপনায় অনিয়মিত বাজার মনিটিরিং, সিন্ডিকেট ও কারসাজির কারণে ভোক্তারা পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন ভোগ্য পণ্যের বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরী হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনে যে সব আইন-কানুন রয়েছে তা বর্তমানে কার্যকর হচ্ছেনা। ভোগ্য পণ্যের বাজারে যে জিনিষের দাম বেড়েছে তা হলো মোটা চাল। এখনও ইরি জাতীয় মোটা চাল ৫৫/৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কোন প্রশাসনিক নজরদারী নেই। ৩/৪ মাস ধরে মোটা চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। আর এই মোটা চালের ভোক্তা দেশের বৃহত্তম জনগোষ্টী। সরকারি গোদাম, মোকাম ও পাইকারী বাজারে বিপুল পরিমাণ চাল মজুদ রয়েছে। এ অবস্থায় মোটা চালের বাজার কোন ভাবেই অস্থিতিশীল হবার কথা নয়। চাল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গুটি কয়েক মিল মালিকের কারসাজিতে চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। গত বছরের পুরো সময় দেশের মানুষকে চড়া দামে চাল কিনে খেতে হয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোটা চাল ৫০/৫৫ টাকা, মাঝারি চাল ৫৫/৬০ টাকা, নাজির শাইল চাল ৬৫/৭০ টাকা ও উন্নতমানের মিনিকেট চাল ৫৫/৬৫ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫৫/৬০ টাকা ধরে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে। বস্তা প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৭শ থেকে ৮শ টাকা।