মূল্যবৃদ্ধিতে জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
নিউজ ডেস্ক:পেঁয়াজ, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে দ্রব্যমূল্যের অযৌক্তিক ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার সকালে সহকর্মীদের নিয়ে বাজার মনিটরিংয়ে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
অভিযানকালে অধিক মুনাফা লাভের আশায় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, চড়া দামে পণ্য বিক্রিসহ অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারেন, সে ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।
তিনি জানান, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে যাঁরা পেঁয়াজ, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে বাজারে কারসাজি করছেন, তাঁদের ব্যাপারে প্রশাসনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া অনেক আড়ত ও দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় তাদের সতর্ক করা হয়েছে এবং মূল্য তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় চালান পরিদর্শন এবং সঠিক মূল্য রাখার ব্যাপারেও ব্যবসায়ীদের প্রতি নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে, বাজার ঘুরে দেখা যায়, ২ শ থেকে ২ শ ১০ টাকায় পেঁয়াজ কিনে খুচরা ও পাইকারি বাজারে ২ শ ১০ থেকে ২ শ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা। পাইকারি ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কেনা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। চিকন চালের বাজার আরও চড়া। ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে পাইকারি কেনা চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। তবে মূল্যবৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে সঙ্গত কোনো উত্তর নেই খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। তাঁদের মতে, ‘সারা দেশের বাজার যেমন চলছে, আমাদেরও তেমন।’
বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, জেলা বাজার কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাদের জগলু প্রমুখ।
সারা দেশে যখন মূল্যবৃদ্ধি, কৃত্রিম সংকট ও ভোক্তার অধিকার অনিশ্চয়তার মধ্যে, তখন জেলা প্রশাসকের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ ভোক্তারা।