নিউজ ডেস্ক:
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, সবার আগে এবং কঠোর অবস্থান নেয়ার যে দর্শনে নিউজিল্যান্ড বিশ্বাস করে, তারই অংশ হিসেবে দেশকে সতর্কতামূলক অবস্থানে রাখার জন্য করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জারি লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সরকার।
আরডার্ন আরো বলেন, তার ধারণা এই ১২ দিনে কীভাবে গুচ্ছ সংক্রমণ হলো তা চিহ্নিত করে আইসোলেশনের মাধ্যমে অকল্যান্ডে সতর্কতামূলক অবস্থান হিসেবে জারি তৃতীয় ধাপের সতর্কতার মাত্রা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ও সতর্কতার চারটি পর্যায় রয়েছে নিউজিল্যান্ডে। ফের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর গত বুধবার থেকে তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ জারি রয়েছে দেশটির সর্ববৃহৎ শহর অকল্যান্ডে। এছাড়া বাকি দেশে জারি রয়েছে দ্বিতীয় ধাপের বিধিনিষেধ। প্রধানমন্ত্রী আর্ডার্ন বলেছেন, মেয়াদ বাড়বে দুটোরই।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা নিয়ন্ত্রণে নিউজিল্যান্ডের সাফল্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। টানা ১০২ দিন কোনো রোগী না থাকার পর গত ৯ আগস্ট স্থানীয় সংক্রমণ শনাক্ত হয় দেশটিতে। এরপরই সতর্ক অবস্থানে চলে যায় সরকার। ফের জারি করা হয় লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। এখন আবার তার মেয়াদ বাড়ানো হলো।
দ্বিতীয় দফায় অকল্যান্ড থেকে যে গুচ্ছ সংক্রমণের সূত্রপাত হয়েছিল তার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলমান রয়েছে এখনো। গত জুনের শুরুতে নিউজিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা মুক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু গত সপ্তাহে ফের শুরু হওয়া সংক্রমণ বাড়ছেই। তাই পুনর্বহাল হয়েছে লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডে করোনার প্রথম সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা মাত্র এক হাজার ২৩৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ২২ জনের।