যমুনার পানি বিপদ সীমার ১১১ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : যমুনা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধির ফলে প্রথম দফার থেকে দ্বিতীয় দফায় সিরাজগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার আশংকা করছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সোমবার দুপুরে বিপদ সীমার ১০৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ৩ দিনে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৩৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিপদ সিমার ১০৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর পানি বাড়ার সাথে সাথে জেলার ৫ উপজেলার চরাঞ্চল ও নি¤œাঞ্চলের প্রায় ৩০০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর এর ফলে ভোগান্তিতে রয়েছে এসকল অঞ্চলের বন্যার্ত মানুষেরা।
অন্যদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে সদর উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের বেশ কিছু অংশে লিগ দেখা দিয়েছে। লিগের অংশ থেকে পানি চোয়ানোর ফলে হুমকির মধ্যে রয়েছে বাধটি। এই বাধ ভাঙ্গন দেখা দিলে পৌরবাসীর ৩ লাক্ষ মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পরবে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছে বাধ এলাকা পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে।
যুমনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলসহ সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বেশ কিছু নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। অপরদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চৌহালী ও শাহজাদপুরের কৈজুরীতে উপজেলায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ইমাম জানান, দ্বিতীয় দফায় যমুনার পানি যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বড় ধরনের বন্যার আশংকা রয়েছে। আর পানি আরো দুই দিন বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে জেলার বাধ একালার বিশেষ করে সদর উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধটির ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা জানান, সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ৩০০টি গ্রামে পনি প্রবেশ করেছে । ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করতে জরিপ চলছে। ইতিমধ্যে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ১৭০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ আট লক্ষ বিশ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।