চুয়াডাঙ্গায় একযোগে ১২১টি বিদ্যালয়ে সততা স্টোর উদ্বোধনকালে ডিসি গোপাল চন্দ্র দাস
নিউজ ডেস্ক: একটি সৎ, সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও দেশ গঠনে এই প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে তৈরি করতে হবে। তাদের মধ্যে সততার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে দুর্নীতি বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব থাকবে না। ‘সততা স্টোর’ সততা চর্চার একটি প্লাটফর্ম। নতুন প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা এবং অল্প বয়স থেকেই দুর্নীতি বিরোধী নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ করার মহান উদ্যোগ ও সৎ মানুষ তৈরির মিশন। বিবেক জাগ্রত করার শিক্ষা সততা স্টোরের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব। সৎভাবে চলার অনুশীলন কেন্দ্র। এখানে বিক্রেতা নেই। এ দোকানের প্রকৃত বিক্রেতা হলো বিবেক, নৈতিকতা, সততা, চরিত্র, মনুষ্যত্ব ও সর্বোপরি সত্যিকারের মানুষ হওয়ার সিঁড়িতে আরোহণ। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় একযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১২১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র অবস্থায় নীতিনৈতিকতা এবং সততার শিক্ষা দিতে বিক্রেতাবিহীন ‘সততা স্টোর’ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে একযোগে ১২১ টি বিদ্যালয়ে সততা স্টোর উদ্বোধনের ঘোষণা দেন এবং এ কার্যক্রম সম্বন্ধে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের দিকনির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াশীমুল বারী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন, ফার্মপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, এই দোকানে থাকবেনা কোন বিক্রেতা। যে সকল পণ্য দোকানে আছে তাঁর নীচে মূল্য দেওয়া আছে। তোমাদের যে জিনিসটি দরকার তোমাদেরকের সেটি নিয়ে রেজিষ্টারে তোমার নাম লিখে মূল্যটি সেখানেই রেখে যেতে হবে। এ জন্যই এ দোকানের নাম সততা স্টোর। তোমাদের সততার উপর চলবে এই দোকান। আর এই দোকানের মাধ্যমে তোমাদের সততারও পরীক্ষা হবে। ‘সততা স্টোর’-এর সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো- বিবেক জাগ্রত করার শিক্ষা। সৎভাবে চলার অনুশীলন কেন্দ্র। দৃশ্যতঃ এখানে বিক্রেতা নেই।