নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার আসামিদের ধরতে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। তবে গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত প্রধান আসামি সাফায়াত আহমেদসহ কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম বলেন, ধর্ষকদের নাম-ঠিকানা এসেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ প্রথমে ছায়া তদন্ত করেন। পরে তাদের ধরতে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। আসামিরা যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হবেন। এর বাইরে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়।
এদিকে বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, সামনে পুলিশি পাহারা রয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার রাতে সাফায়াত দুই-তিনটি কক্ষ ভাড়া নেন। মাঝেমধ্যেই তিনি সেখানে যেতেন। গভীর রাত পর্যন্ত থেকে বেরিয়ে যেতেন।
বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরমনা আলী জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। সিসি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা যেন দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য সোমবার দুপুরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তারা পালিয়ে যেতে পারবেন না।
থানার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিদের একজন সাদমান সফিক ওই তরুণীদের পূর্বপরিচিত। ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাত আহমেদের সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের। ২৮ মার্চ সাফাত আহমেদ জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে তার গাড়ি পাঠিয়ে ড্রাইভার ও বডিগার্ডের মাধ্যমে তরুণীদের রেইন ট্রি হোটেলের ছাদে নিয়ে যান। একপর্যায়ে তাদের দুজনকে একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক মদ্যপান করিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ সময় সাফাত তার ড্রাইভার বিল্লালকে ধর্ষণের ভিডিও করতে বলেন। বিল্লাল ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করেন। পরে সাফাত তার দেহরক্ষীকে তরুণীদের বাসায় পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখান।