এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুর শহরের সুইহারী খালপাড়ায় ৯ একর সম্পত্তি দখলে মত্ত ভুমিদস্যু ও পুলিশ ১ এসআই এর হুমকীতে নিরাপত্তাহীনতায় একটি পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার এসআই বিপ্লব কান্তি এবং এসআই মোঃ আজগরের এমন হুমকী-ধমকীতে অতিষ্ঠ হয়ে জীবন ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে একটি পরিবারের সদস্যরা ৩০ মে সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অর্থলোভি ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগ করে তাদের ষড়যন্ত্রে হাত থেকে বাঁচানোর জন্যে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ এবং এসআই বিপ্লব কান্তি ও আজগরের বিরুদ্ধে তদন্তমুলক কঠোর শাস্তির দাবী করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশী নির্যাতনের স্বীকার মোঃ নাজমুল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমল খালকো।
লিখিত বক্তব্যে দাবী করা হয়েছে, সদরের উত্তর গোসাইপুর খালপাড়ার এলাকার তাদের ভোগদখলীয় ১২২নং খতিয়ানের ৫১১,৫১২নং দাগসহ অন্যান্য কয়েকটি দাগের মোট ৯ একর সম্পত্তি জোবরদখলে নেয়ার জন্যে কুখ্যাত ভ’মিদস্যু ফরিদ কাদেরী, আব্দুস সালাম কাদেরী, সালাউদ্দীন কাদেরী মোঃ মোক্তার হোসেন গং বিপুল অর্থের বিনিময়ে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে তাকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকীসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছে।
পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা সময়ে অসময়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে জমি ছেড়ে দিতে বলে অন্যথায় মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাটাবে বলে হুমকী দেয়। জমির বিষয়ে পুলিশ হুমকী দিচ্ছে সেটি নিয়ে দিনাজপুর সিভিল আদালতে দুটি মামলা ২০২/১৫ এবং ৩৮/১৬ বিচারাধীন রয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, গত ২৮ মে/২০১৭ এসআই আজগর আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার মা মোছাঃ নাজমা বেগমকে হুমকী দিয়েছে আমাদের ভোগদখলীয় ওই সম্পত্তি ছেড়ে দিতে অন্যথায় সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা দিয়ে হাজতবাস করাবে। আমার মা তাকে মামলা চলমানের কথা বললে এসআই আজগর বলেন, “রাখো তোমার মামলা পুলিশ কি করতে পারে টের পাবে”।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানমাল,সম্পদ ও সামাজিক নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লীষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ দাবী করেন তারা। এছ্ড়াও তারা বিষয়টি অবগতির জন্যে জাতীয় মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান,আইজিপি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে অনুলিপি প্রেরন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নাজমুল হোসেন নাজু, সুমন মিয়া, মোঃ শাহজাহান, মোঃ নাজমুল হোসেন ও তারা মিয়া প্রমুখ।