নিউজ ডেস্ক:দামুড়হুদায় রাত্রী খাতুন (৬) নামের এক শিশুকে ইট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার সকাল আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অচেতন অবস্থায় শিশু রাত্রীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত শিশু দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গুচ্ছগ্রামের ষাটপাড়ার বদর উদ্দীন ও সালমা বেগমের মেয়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সালমা বেগমের বোনের মেয়ে আপ্রিলা খাতুনের (১৮) সঙ্গে প্রতিবেশী আইজালের ছোট ছেলে সোহেল রানার বিয়ে দেন সালমা বেগম। এ নিয়ে আইজালের বড় ছেলে ইয়ামিনের সঙ্গে তাঁদের বিবাদ চলে আসছিল। গত শনিবার ইয়ামিনের বাড়িতে এ বিয়ে নিয়ে ঝগড়া হয়। এ সময় সালমা বেগম ও শিশু রাত্রী সেখানে গেলে ঝগড়ার একপর্যায়ে ইয়ামিন একটি আধলা ইট দিয়ে রাত্রীর মাথায় আঘাত করলে রাত্রী গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা রাত্রীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত্রীকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখেন। এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান রাত্রীর পিতা বদর উদ্দীন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন জানান, রাত্রীর সিটি স্ক্যান রিপোর্টে দেখা গেছে, ইটের আঘাতে শিশুটির চোখের পাশের একটি হাড় ভেঙে গেছে। তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।