নিউজ ডেস্ক:দামুড়হুদায় প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ ২ জনের নামে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষণকাজে সহযোগিতাকারী হিসেবে অপর এক গৃহবধুকে আটক করেছে। সেই সাথে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী গৃহবধুকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে। আজ শুক্রবার ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের আজিবারের স্ত্রী রজিফা খাতুন (৪৫) প্রতিবেশী আমির হোসেনের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে আরিফাকে (২৫) বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ফুসলিয়ে বাড়ির অদুরবর্তী একটি ভূট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায়। ভূট্টাক্ষেতে নেয়ার পর একই গ্রামের মৃত আহম্মদ আলী খার ছেলে দামুড়হুদা ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলেফ খা (৬৫) তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে, ঘটনাস্থলে ছুটে যান দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস। তিনি ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাদের সময় প্রতিবন্ধী গৃহবধু ঘটনার সত্য বলে জানায়। সে আরও জানায়, তার মামী আজিবারের স্ত্রী রজিফা তাকে ডেকে নিয়ে যায়। তাকে কোথায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে জানতে চাইলে, প্রতিবন্ধী গৃহবধু কয়েকটি ভুট্টাক্ষেত দেখালেও শেষমেষ সঠিকস্থান দেখাতে পারেনি।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেছেন, ভিকটিমের স্বামী তোজাম আলী বাদি হয়ে ইউপি সদস্য আলেফ খা এবং সহযোগী হিসেবে প্রতিবেশী আজিবারের স্ত্রী রজিফার নামে মামলা করেছেন। আজ ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হবে। ডাক্তারী পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে আসার পরই এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে। ভিকটিমের জবানবন্দী এবং বাদির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষণকাজে সহযোগিতাকারী হিসেবে রজিফা নামের এক গৃহবধুকে আটক করা হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় পক্ষে-বিপক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। কেউ বলেছেন আলেফ খার বয়স ৬৫ বছর। সে কিভাবে এ কাজ করতে পারে। এটা ষড়যন্ত্রও হতে পারে বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন।