দামুড়হুদায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত মাদক ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনা
নিউজ ডেস্ক:দামুড়হুদার জয়রামপুরে দুই দল মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের ত্রিমুখী বন্দুকযুদ্ধে নিহত রোকনকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ তুলে সাতজনের নামে আদালতে মামলা করেছেন রোকনের পিতা আবু বক্কর ছিদ্দিক। নিহত রোকনের পিতা আবু বক্কর ছিদ্দিক বাদী হয়ে গত সোমবার দামুড়হুদা আমলি আদালতে দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুরের হল্ট স্টেশন বাজারপাড়ার মৃত হুজুর আলীর ছেলে মাছুমকে ১ নম্বর আসামি করে মোট ৭ জনের নামে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ তুলে এ মামলা করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, দামুড়হুদার দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের মাঝপাড়ার আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে রোকনকে গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে মুঠোফোনে কল করে জরুরি কাজ আছে বলে ডাকেন তাঁর বিশ্বস্ত বন্ধু একই এলাকার মুন্নাফ আলীর নাতি সজল। রোকন ফোন পাওয়ার পর তাঁর পিতাকে বলেন, সজল ছটাংগার মাঠে দেখা করতে ডাকছেন। এ কথা বলে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বাড়িতে ফিরে না আসায় রোকনের পিতা আবু বক্করের চিন্তা হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে রোকনকে খুঁজতে তাঁর পিতা ছটাংগার মাঠে যান। সেখানে অনেক খোঁজাখুঁজির পর রোকনকে খুঁজে পাওয়া না গেলে, সজলের কাছে রোকনের সন্ধান জানতে চান তিনি। এ সময় সজল কোনো সদুত্তোর দিতে পারেননি। এর পরদিন সকালে আবু বক্কর ছিদ্দিক জানতে পারেন, দামুড়হুদার জয়রামপুরে দুই দল মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে রোকন নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে ছুটে যান রোকনের পিতা। সেখানে লাশ দেখে লাশটি রোকনের বলে শনাক্ত করেন তিনি।
এ ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় একই গ্রামের মৃত হুজুর আলীর ছেলে মাছুম, মৃত আয়জাল মল্লিকের ছেলে আলিহীম, নজু জোয়ার্দ্দারের ছেলে লিমন, রাজ্জাকের ছেলে রাজিব, মুন্নাফের নাতি সজল, আপু জোয়ার্দ্দারের ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক, আলী মিয়ার ছেলে সুমন মোট সাতজনকে আসামি করে আমলি আদালত দামুড়হুদায় মামলা দায়ের করেন নিহত রোকনের পিতা আবু বক্কর ছিদ্দিক। আদালত মামলাটি আমলে নেওয়ার জন্য দামুড়হুদা থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, ‘আদালত থেকে এখন পর্যন্ত এমন কোনো আদেশপত্র আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি।’