নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক শিশু শিক্ষার্থীকে তিন বছর যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
নির্যাতিত শিশুর বাবা অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো.আসাদুজ্জামান বরাবর লিখিত আবেদন জানান।
এর আগে, গত ২৮ ডিসেম্বর সাতজনকে আসামি করে সোনাইমুড়ী থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী শিশুর বাবা অভিযোগ করে বলেন, মামলার ৭ আসামি ও কোটবাড়িয়া আল ফালাইয়্যা মাদ্রাসার কিছু শিক্ষক শিশু-কিশোরদের গত ৩ বছর যাবৎ অপহরণ, শরীরে চেতনানাশক ইঞ্জেকশন পুশ করা, মাদক সেবন করানো, বাচ্চাদের শরীর থেকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে রক্ত নেওয়া, বাচ্চাদের ইয়াবা সেবনে বাধ্য করা।
এরপর তাদের ভিডিও ধারণ এবং সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে বাচ্চাদের মাদক পাচারের জন্য পাঠানো হয়। শিশু বাচ্চারা তাদের কথা না শুনলে তাদের মেরে ফেলার হুমকি-ধমকি প্রদান করাসহ শিশু শিক্ষার্থীদের গণ ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে।
মামলার সাতজন আসামির মধ্যে দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে জামিনে এসে একজন বিদেশ চলে যায়।
উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ৫নং আসামি রাজুসহ এজাহার নামীয় পলাতক আসামি জোবাইয়ের হোসেন ফরহাদ (২৪) আবু ওয়ায়েদা অনিক (২৫) মো.রনি (২৩) বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। আরও কেউ জড়িত থাকলে চার্জশিটে অর্ন্তভুক্ত করা হবে।