নিউজ ডেস্ক:
তাঁতশিল্পকে আরও আধুনিক ও বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই শিল্পের প্রসারে সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপই তার সরকার নেবে।গতকাল রবিবার রাজধানীর ফার্মর্গেটস্থ কৃষিবিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ তাঁতী লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মসলিনের ওপর চার ইঞ্চি জরির কাজ করতে পুরোটা দিন লেগে যায়। এই যে তারা মনযোগ দিয়ে একটি বস্ত্র তৈরি করছেন এটাও তো একটি অত্যন্ত উন্নতমানের শিল্প। কাজেই এটাকে আরও বেশি সহযোগিতা করার জন্য আমাদের সরকার সব সময় প্রস্তুুত এবং আমরা তা করে যাব।
তিনি বলেন, এই শিল্প যেন আরও উন্নত হয়, সম্প্রসারিত হয়, সেদিকেই আমরা নজর দিচ্ছি। তাঁত বোর্ডকে ডিজিটাইজড করার ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা একটা টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ও দেশে প্রতিষ্ঠা করেছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তাঁতী লীগের আহ্বায়ক এনায়েতুর রহমান চৌধুরী। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ তাঁতী লীগের যুগ্ম আহবায়ক সাধনা দাস গুপ্তা। প্রথম যুগ্ম আহবায়ক খগেন চন্দ্র দেবনাথ সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন সম্মেলন প্রস্তৃতি কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সকল শহীদ, কারাগারে নিহত জাতীয় চারনেতা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, গণতন্ত্র উদ্ধারে আত্মাহুতিদানকারী তাঁতী লীগের প্রয়াত নেতৃবৃন্দ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। তিনি সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, ডেলিগেট, কাউন্সিলর ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।