নিউজ ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকার পরও এক বিভাগে ছয়জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিভাগটিতে আরো দুজনকে অতিরিক্ত নিয়োগের সুপারিশ করেছে সিন্ডিকেট। অন্য আরেকটি বিভাগে প্রভাষক পদে দুজনের নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে চারজনকে।
একই বিভাগে আরো দুজনকে অতিরিক্ত নিয়োগের সুপারিশ গ্রহণ করেছে সিন্ডিকেট। এ ছাড়াও সিন্ডিকেট এক শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে ও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুটি অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
গতকাল বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিন্ডিকেটের কয়েকটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞাপনের বাইরে গিয়ে নিয়োগ দেওয়ায় ২০১৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেটের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষক।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগে শর্ত শিথিল করে ছয়জনকে নিয়োগ দিয়েছে সিন্ডিকেট।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অনার্স ও মাস্টার্সে সিজিপিএ ৪.০০ এর স্থলে ৩.৭৫ এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ এর মধ্যে ৪.২৫ থাকা বাধ্যতামূলক হলেও নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন ছাড়া বাকিদের কেউই দুটি শর্ত পূরণ করতে পারেননি। শর্ত পূরণ করতে পেরেছেন হাজেরা আক্তার, ফাহমিদা মুস্তাফিজ ও অনামিকা দত্ত।
বাকি ছয়নজনই যোগ্যতা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা হলেন- মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, মৌরি মেহতাজ, আসমিনা আক্তার, পল্লবী বিশ্বাস, কাজী মো. জামশেদ ও একরামুল হুদা।
অন্যদিকে বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগে দুটি শূন্য পদের বিপরীতে দরখাস্ত আহ্বান করা হলেও অতিরিক্ত আরো দুজনকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগের সুপারিশ গ্রহণ করে সিন্ডিকেট। নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা আবার ফলাফলের দিক থেকেও পিছিয়ে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়াও সিন্ডিকেট সভায় অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পিএইডি শেষ না হওয়ার কারণ তদন্তে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক বিল্লাল হোসাইনের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও হাইয়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের (হেকেপ) একটি প্রকল্পের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু সারা শামসুর রউফের বিষয়েও পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।