নিউজ ডেস্ক:
দেশের বেসরকারি খাতের গৃহীত নতুন উদ্যোগ ও উদ্ভাবন কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ইউএনডিপির গৃহীত প্রকল্পে সহায়তা বৃদ্ধিতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং ইউনাইটেড ন্যাশনস্ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ডিসিসিআই’র গুলশান কার্যালয়ে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান এবং ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ চুক্তির ফলে পরবর্তীতে গৃহীত প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের প্রভাব এবং এ বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া দেশের বেসরকারি খাতের সঙ্গে ইউএনডিপির কার্যক্রম সম্প্রসারণে নতুন একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। ইউএনডিপি এবং ইউনাইটেড ন্যাশনস ভলানটিয়ার্স পোগ্রাম এ বছর ইনোভেশন হাব নামে একটি অংশীদারিত্বমূলক মডেল উদ্ভাবন করে, যা ইউএনডিপি এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ঢাকা চেম্বার বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ ব্যবসায়িক সংগঠন, যেটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নয়নে নীতিমালা প্রণয়নে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।
তিনি বলেন, ঢাকা চেম্বার দেশে একটি ব্যবসাসহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতকরণে ইতোমধ্যে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে একটি ক্রান্তিলগ্ন অতিবাহিত করছে যেখানে রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি, দ্রুত শিল্পায়ন এবং বেসরকারি খাতে সক্রিয় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
ডিসিসিআই সভাপতি আরো বলেন, দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত ও গবেষণাধর্মী সহায়তা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ইউএনপির সঙ্গে এ ধরনের সহযোগিতা অত্যন্ত কার্যকর ফলাফল বয়ে আনতে সহায়তা করবে।
এছাড়া এ ধরনের সহযোগিতামূলক কার্যক্রম ডিসিসিআই’র সদস্যের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী বলেন, কর্মসংস্থান, গবেষণা এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাত প্রায় ৮০ শতাংশ অবদান রেখে যাচ্ছে। এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম কিছু নয়, কিন্তু আমাদের উন্নয়নের গতিধারা নির্ধারণ করতে আরো নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হোসেন এ সিকদার, পরিচালক সেলিম আকতার খান, ইঞ্জি. আকবর হাকিম, আতিক-ই-রাব্বানী, আসিফ এ চৌধুরী, মহাসচিব এ এইচ এম রেজাউল কবির, ইউএনডিপির সহকারী কান্ট্রি ডিরেক্টর শায়লা খান, কমিউনিকেশনস ম্যানেজমেন্ট অফিসার্স ড্রোপবেনজ্যাক প্রমুখ।