সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে সড়ক মহাসড়কে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স চেকিংয়ের নামে হয়রানি,ওয়ে স্কেলের নামে চাঁদাবাজি, বাম্পার, সাইড এঙ্গেল এবং হুক খোলার সরকারি আদেশ প্রত্যাহারের ৭দফা দাবিতে সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় চলছে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি।
৭দফা দাবিগুলো হচ্ছে, বাম্পার, সাইড এঙ্গেল এবং হুক খোলার সরকারি আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। ওয়ে স্কেলের নামে চাঁদাবাজি, সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে হয়রনি বন্ধ করতে হবে। ২০১৭ সালের মন্ত্রী সভার খসরা আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাক ও কর্ভাডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক নামদার হোসেন জানান, ৭দফা আমাদের বৈধদাবি। এদাবি পুরনের জন্য আমরা ৪৮ ঘন্টা কর্মবিরতী দিয়েছি। দাবি না মানলে আগামীতে দাবি বাস্তবায়নের জন্য কঠোর কর্মসুচি ঘোষনা দেয়া হবে বলে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরী মালিক গ্রুপের সভাপতি ও উত্তরবঙ্গ ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব নূর কায়েম সবুজ জানান, ৭দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আমরা গত প্রায় এক মাস ধরে বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে আসছি। এরমধ্যে জেলা প্রশাসকের স্মারকলিপিসহ কর্মবিরতি আগাম ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন জেলায় পোষ্টার লাগানো হয়েছে। এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে কোন আলোচনায় আসেননি। আমাদের এই বৈধদাবি না মানলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনে নামা হবে।তিনি আরো জানান,পুলিশ হেড কোয়াটারে আইজি মহোদয়ের সাথে কাগজপত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স চেকিংয়ের নামে সড়ক, মহাসড়কে পুলিশি হয়রানী, বাম্পার, সাইড এঙ্গেল এবং হুক খোলার বিষয় নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছিলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন তার কোন সুরাহা হয়নি।
ট্রাক চালক জামাত আলী জানান, রাস্তায় যেভাবে পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়। এভাবে গাড়ী চালানো সম্ভব না। হাইওয়ে পুলিশের হয়রানী, লাইন্সেস চেকিংকের নামে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে কর্মবিরতী ছাড়া আর উপায় নেই।