হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ: টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়াপাড়া এলাকার আবদুল হামিদ মেম্বার মো: আমিন, আজিজুল হক এর নেতৃত্বে ২০-৩০ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে তিনজনকে গুরুত্ব জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বাধা দিতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের এলাপাতাড়ি কোপের আঘাতে কক্সবাজার সিটি কলেজের ছাত্র ও টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। গত ২৩ আগষ্ট বুধবার সকাল ১০ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়াপাড়া এলাকার আবুল বশরের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছে, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিল এলাকার মৃত মুছা আলীর পুত্র মো. ছেবর (৩৫) মহেষখালীয়াপাড়া এলাকার আবুল বশরের পুত্র কলেজ ছাত্র সাইফুল ইসলাম (২৪), একই এলাকার নুরুল বশরের স্কুল পড়–য়া মেয়ে মাসুমা বশর(১৪) স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এদের মধ্যে মো. ছেবরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়াপাড়া এলাকার আবুল বশর পরিবারের সঙ্গে একই এলাকার মৃত আবদুল হাসিমের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ডাকাত আবদুল হামিদ মেম্বারের সাথে বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এর জের ধরে গত ২৩ আগষ্ট বুধবার সকালের দিকে আবদুল হামিদ মেম্বার ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসীসহ আবুল বশরের পরিবারের ওপড় হামলা চালায়। এতে ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। হামলায় এলাকায় ত্রাস ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আবুল বশরের কলেজ পড়–য়া পুত্রসহ তিনজন গুরুতর জখম হয়। সন্ত্রাসীরা চলে গেলে প্রতিবেশীরা এসে আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার এস আই নুরুল আমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এই ঘটনায় বাদি হয়ে আবুল বশরের পুত্র মো: ইব্রাহীম গত ২৩ জুলাই একটি অভিযোগ করেছেন।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন খাঁন জানান, আমরা ঘটনাটি শুনার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এই ঘটনায় একটি পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছে।