আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালতে রিমান্ড বিষয়ে এ আদেশ দেন। এর আগে দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানায় ডিএমপি।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর পল্টন থানা এলাকায় গুলিতে নিহত হন রিকশাচালক কামাল মিয়া (৩৯)। এ ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের আসামি করে ২০ জুলাই একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৩৬)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আমার স্বামী কামাল মিয়া (৩৯) পেশায় একজন রিকশাচালক। গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারি, আমার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় পল্টন মডেল থানার বটতলা গলির মুখে পড়ে আছে। তখন আমি ও আমার মেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, ঘটনাস্থলের স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ওই স্থানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা রাস্তা অবরোধ করে আগুন দেয় এবং বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। তখন কাকরাইল থেকে পল্টন থানায় আসার পথে একজন পুলিশকে দুষ্কৃতকারীরা আটক করে মারধর করে। তার কাছে থাকা সরকারি পিস্তল ও গুলি, ওয়ারলেস সেট, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ নিয়ে যায় এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। তখন পল্টন থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া করে। এ সময় দুষ্কৃতকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পুলিশ ও দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার মাঝে পড়ে গুলিতে আহত হন রিকশাচালক কামাল মিয়া।