নিউজ ডেস্ক:
‘সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগ’ সম্পর্কিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনকে উদ্ভট, মনগড়া, কাল্পনিক ও স্ববিরোধী বলে অভিহিত করেছে, দেশে উচ্চ শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
মঙ্গলবার ইউজিসি’র অতিরিক্ত পরিচালক (জনসংযোগ) মোঃ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, টিআইবি তাদের গবেষণা প্রতিবেদনের এক কপি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠিয়েছে।
মঞ্জুরি কমিশন টিআইবি’র কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, টিআইবি কী কারণে এবং কী উদ্দেশ্যে মঞ্জুরি কমিশনের মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে জড়িয়ে এহেন উদ্ভট, মনগড়া, কাল্পনিক ও স্ববিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা ইউজিসি’র কাছে বোধগম্য নয়। একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সুনাম, ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করে টিআইবি নিজেই নিজ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উক্ত গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির ক্ষেত্রে ইউজিসিকে জড়িয়ে যে সংবাদ পরিবেশন করেছে তাতে ইউজিসি’র মতো একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
ইউজিসির বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়- প্রতিবেদনের শেষ অধ্যায়ে বলা হয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রভাষক নিয়োগে তাদের (মঞ্জুরী কমিশনের) তেমন কোনো ভূমিকা নেই।’ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজ নিজ আইন দ্বারা পরিচালিত। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি কাঠামোতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে। মঞ্জুরি কমিশন (তার নিজস্ব জনবল নিয়োগ ব্যতীত) কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে কোনোভাবেই জড়িত থাকে না। কাজেই উক্ত অনিয়মের সাথে বাইরের অংশীজনের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কর্মকর্তা কোনোভাবেই জড়িত থাকার সুযোগ নেই। তাহলে কিভাবে ইউজিসি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগের অনিয়মের সাথে সংশ্লিষ্ট? টিআইবি’র প্রতিবেদনটি যে স্ববিরোধী এবং ভিত্তিহীন তা প্রমাণের জন্য তাদের প্রতিবেদনই যথেষ্ট।
বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি আরো বলেছে, মঞ্জুরি কমিশন দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভালের একমাত্র বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এবং সরকারের পরামর্শক্রমে উচ্চশিক্ষার প্রসার ও উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।