নিউজ ডেস্ক:টানা বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে কুড়িগ্রাম ও সুনামগঞ্জে আবারো দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে কুড়িগ্রামের রৌমারি ও রাজিবপুর উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩৫টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।
পানির তীব্র তোড়ে সড়ক ভেসে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে, ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া বন্যার পানিতে জিনজিরাম, ধরনী ও কালজানি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভেসে গেছে ৫৭ কিলোমিটার সড়ক ও ১৫০ হেক্টর জমির ফসল। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা ও ভেলা।
স্থানীয় কৃষক আলী আকবর জানান, এবার আড়াই বিঘা জমিতে ধান চাষ করা হয়। এর মধ্যে দেড় বিঘা জমির ধান কাটতে পারলেও ভারত থেকে হঠাৎ পাহাড়ি ঢল এসে এক বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। এতে ২১ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বন্যায় উপজেলার ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় সাময়িকভাবে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, রৌমারী উপজেলার ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ্ আল মামুন জানান, উজানের ঢল-বৃষ্টিতে রৌমারী উপজেলার কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। ২০-২৫ জুনের মধ্যে বড় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টির কারণে উজানের ঢলে সুরমার পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। ফলে, চর তাহিরপুর, ইব্রাহিমপুর, তেঘরিয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।