নিউজ ডেস্ক: ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মতিয়ার রহমানের নামে ২৭শে নভেম্বর-১৮ইং থেকে এ পর্যন্ত তার নামে ৬টি ও তার সহধর্মীনির নামে ১টি মামলা হয়েছে। ধানের শীষের প্রার্থী মতিয়ার রহমান গত ১৭ই ডিসেম্বর হাইকোর্টে একটি মামলার জামিন নিতে গিয়ে নতুন আর একটি মামলার খবর পান। দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত ঝিনাইদহ-৩ আসনটি। এখানে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩,৬০,৮৪৪ জন। কোটচাঁদপুর উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১,০৮,৮৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৪,৫৬৭ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ৫৪,২৭৭ জন। মহেশপুর উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ২,৫২,০৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১,২৭,১৫২ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ১,২৪,৮৮৮ জন। বিএনপি জামায়াতের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত এ আসনটি। এখানে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মতিয়ার রহমান। যিনি বিভিন্ন মামলার আসামী। তার নামে সর্বমোট ২৩ মামলা হয়েছে। যার মধ্যে ৬টি মামলা হয়েছে তিনি মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগের দিন থেকে এ পর্যন্ত। মনোনয়ন জমা দেন ২৮ শে নভেম্বর কিন্তু তার আগের দিন রাতেই মহেশপুর থানায় তার নামে নাশকতা মামলা হয়। যার নং- মশেহ জি.আর ৪০৯/১৮ইং। এর পর একে একে ২ই ডিসেম্বর তারিখে হয় মহেশ জি.আর ৪১১/১৮ইং, ৬ই ডিসেম্বর হয় মহেশ জি.আর ৪১৪/১৮ইং, ১১ই ডিসেম্বর হয় মহেশ জি.আর ৪১৯/১৮ইং, ১২ই ডিসেম্বর হয় ঝি জি.আর ৭১৬/২০১৮ইং। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে ঝিনাইদহ-৩ আসনের ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের সেক্টেটারী মতিয়ার রহমানের পক্ষে তেমন কোন প্রচার, পোস্টার ও গণসংযোগ তো দূরে থাক এখানে প্রার্থী নিজেসহ তার দলের নেতাকর্মিরা গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়ে আছেন এবং প্রশাসনের বিমাতা সুলভ আচারণের অভিযোগ করা হচ্ছে।