নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ত্রিলোচনপুরের মাঠ থেকে কেয়া খাতুন (১৩) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। সে স্থানীয় বালিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ও ত্রিলোচনপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে।ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ত্রিলোচনপুরের মাঠ থেকে কেয়া খাতুন (১৩) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। সে স্থানীয় বালিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ও ত্রিলোচনপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে। ওই ছাত্রীর দাদা মোশাররফ মণ্ডল জানান, গত মাসের শেষের দিকে নিখোঁজ হয় মাদ্রাসাছাত্রী কেয়া খাতুন। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চলতি মাসের এক তারিখে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে গতকাল সকালে ত্রিলোচনপুর গ্রামের মাঠে রাস্তার পাশে মাটির ওপরে চুলের ব্যান্ডসহ অন্যান্য জিনিস পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ মাটি খুড়ে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। এরপর পোশাক-পরিচ্ছদ দেখে শনাক্ত করা হয় এটা কেয়ার মৃতদেহ। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, ‘এটা গলিত লাশ, তাই ডিএনএ টেস্ট ছাড়া আমরা বলতে পারব না যে এটি কেয়া খাতুনের লাশ।’ ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার জানান, কলাখেতে গলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তিনি আরও জানান, প্রায় চার মাস আগে উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মনছুর মালিথার ছেলে সাবজেল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় কেয়া খাতুনের। বিয়ের পর থেকে সে বাড়িতেই ছিল। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে সে নিখোঁজ হয়। তবে কী কারণে ও কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী।