নিউজ ডেস্ক:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৩নং সাগান্না ইউনিয়নে ওএমএস এর ১০টাকা কেজি দরের চাল বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে এই তদন্ত সম্পন্ন হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার মোঃ আরিফ উজ জামানের নেতৃত্বে এই তদন্ত পরিচালিত হয়। এসময় সাগান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলা উদ্দীন আল মামুন, ডাকবাংলা ক্যাম্পের ইনচার্জ মখলেছুর রহমান, ইউনিয়নের সচিব, ইউপি সদস্যগণ, স্থানীয় সাংবাদিক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ভূক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, গত ১২তারিখে ইউনিয়নে ওএমএস এর ১০টাকা কেজির ৯৭৯টি কার্ডের মাধ্যমে চাল বিক্রয়ে কিছু অনিয়ম ধরা পড়ে এবং সোস্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তা তুলে ধরলে তাৎক্ষনিক ভাবে সদর ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বিষয়টি রসাময়িক সুরাহা হয়। পরবর্তিতে ২,৩,৪,৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের কিছু কার্ডধারী ব্যক্তি না চাল পাওয়ার অভিযোগে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন, সে কারনে বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে এই নিরপেক্ষ তদন্ত সম্পন্ন হয়। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলা উদ্দীন আল মামুন বলেন কার্ডধারী যারা সকলেই এই চাল পেয়েছেন। ২০% কার্ড পরিবর্তন হওয়ার কারনে পুরাতনরা কিছু বাদ বড়তে পারে তবে অনিয়ম হয়নি। তদন্তে ২৫জনের মত অভিযোগ কারীর নিকট থেকে লিখিত নেওয়া হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে একজনের কার্ড দিয়ে অন্যজন চাল তুলে নেওয়ার অভিযোগ মিলেছে এক্ষেত্রে মেম্বর এবং ডিলার উভয়েরই কিছু কিছু ত্রুটি আছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। এই প্রাথমিক তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফ উজ জামান জানান আমরা উভয় পক্ষের লিখিত এবং মৌখিত বক্তব্য নিয়েছি বিষয়টি নিয়ে আরও কিছু জানার আছে তদন্ত চলমান রয়েছে বিধায় এই মুহূর্তে কাউকে দোষি সাবস্ত করা যাচ্ছেনা। তবে দুই একের মধ্যেই বিস্তারিত বিষয়টি জানানো হবে।