1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
ঝিনাইদহে বন্ধ হচ্ছে না লেখাপড়ার নামে জমে উঠা কোচিং ও প্রাইভেটের রমরমা বানিজ্য | Nilkontho
২৪শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
নিয়তির কি নির্মম পরিহাস ছাত্রলীগের-সোহেল তাজ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৪২ জনকে পুড়িয়ে হত্যার মামলা খারিজ পথচারীদের ক্ষোভের মুখে রাস্তা ছাড়লেন বিক্ষোভকারীরা ৩২ প্রত্যাখ্যান ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আহ্বান পুতিনের সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব মোস্তফা কামাল গ্রেফতার সচিবালয় থেকে গ্রেফতার ২৬ জন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত: পুলিশ দিল্লিতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা: দ্য প্রিন্ট চুয়াডাঙ্গায় গাছিরা ব্যস্ত সময় পার করছে,প্রস্ততি রস সংগ্রহের। দর্শনায় ৭ কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে তবলিগ জামাতের ইজতেমা। দানা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা, প্রজ্ঞাপন জারি ঢাকা ও রংপুরে নতুন বিভাগীয় কমিশনার বায়ার্নের বিপক্ষে অবশেষে জয় পেল বার্সেলোনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে রিভিউ শুনানির অপেক্ষা যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবৈধ অপশক্তিকে অপসারণ করতে রাষ্ট্রপতিকে আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলো দানা ধর্মীয় জ্ঞানচর্চায় সুফি সাধকদের বহুমুখী অবদান

ঝিনাইদহে বন্ধ হচ্ছে না লেখাপড়ার নামে জমে উঠা কোচিং ও প্রাইভেটের রমরমা বানিজ্য

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৭

 

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহে প্লেগ্রুপ থেকে একেবারে সবোর্চ্চ পর্যন্ত প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার ছাড়া অভিভাবকদের আর কোন গত্যন্তর নেই। জেলার কোচিং সেন্টারগুলো অভিভাবকদের আষ্টেপৃষ্টে বেধে ফেলেছে বলে অভিভাবকদের পক্ষ থেকেই এখন বলা হচ্ছে। ঝিনাইদহ শহরের অধিকাংশ অভিভাবকরা জানিয়েছেন, সুষ্ঠু লেখাপড়ার চর্চাকে পাশ কাটিয়ে কোচিং সেন্টারগুলো বর্তমানে কোন অভিভাবকের কাছ থেকে বেশি টাকা হাতিয়ে নেয়া যাবে। সেই ফন্দি ফিকিরেই ব্যস্ত। জানাগেছে, সরকারের কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কারণেই ঝিনাইদহ শহরের আনাচে কানাছে অলিতে গলিতে গড়ে উঠছে বিভিন্ন নামের কোচিং সেন্টার। লেখাপড়ার চর্চাকে ব্যবসার ফাঁদ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রায় অধিকাংশ কোচিং সেন্টার কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক ত্যাক্ত-বিরক্ত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন। কোচিং সেন্টারগুলো এমনি জিনিস যেখানে ঢোকার রাস্তা আছে কিন্তু বেরুবার পথ নেই। ফলে দেখা গেছে, লক্ষ লক্ষ টাকা গচ্ছা দিয়েও সবশেষে যা ছিল তাই আছে কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থী। ঝিনাইদহ শহর এবং শহরতলীর সচেতন মহলবাসীরা জানান, যে ছাত্র মেধাবী, সে বাসায় লেখাপড়া করে অখ্যাত স্কুল থেকেই স্ট্যান্ড করে বেরিয়ে যাচ্ছে। তার জন্য কোন কোচিং এর প্রয়োজন পড়ে না। সচেতন মহলবাসীরা আরও জানান, বর্তমান সৃজনশীল প্রশ্ন পত্রের দোহাই দিয়ে কোচিং সেন্টারের মালিকরা তাদের অর্থনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য কোমলমতী ছাত্র-ছাত্রীর মগজে ঢুকিয়ে দিচ্ছে যে, লেখাপড়া বর্তমানে কঠিন হয়ে গেছে এজন্য কোচিং সেন্টারে ভর্তি হওয়া অতি আবশ্যক। কিন্তু সচেতন মহলের ধারণা, সৃজনশীল লেখাপড়ার বিষয়বস্তু কিংবা প্রশ্নপত্র যদি হার্ডই হতো তাহলে যারা শিক্ষা নীতির মাঝে সৃজনশীল প্রশ্ন পত্র ঢুকিয়ে দিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই বেকুব নন।

এছাড়া সৃজনশীল প্রশ্ন পত্রের কিংবা বিষয়বস্তুর জন্য শিক্ষার্থীদের স্কুল রয়েছে। সেই সরকারি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরাও নিশ্চয়ই বেকুব নন। সচেতন মহল দাবি করে জানান, ঝিনাইদহের কোচিং সেন্টারগুলো ফায়দা লুটার এটি একটি প্রক্রিয়া। যাতে অভিভাবকরা কোন পথ না পেয়ে কাঁচা পয়সা ঢেলে তাদের সন্তানদের সারাদিনই কোচিং সেন্টারে বসিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। একটি সূত্র উল্লেখ করেছে, ঝিনাইদহের অধিকাংশ সরকারী-বেসরকারী স্কুলের শিক্ষকরা নিজেরাই একেকটি কোচিং সেন্টার খুলে বসেছেন সেই সাথে বাধ্যতামূলক ঘোষনা করে দিয়েছে, তাদের কোচিং সেন্টারে ছাত্র ভর্তি করাতে হবে অন্যথাই স্কুল পরিক্ষায়ই নম্বর কম দিয়ে ফেইল করিয়ে দেয়া হবে। কি ভয়ঙ্কর কথা! অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িতরা সবাই কোন না কোন স্কুল কলেজের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে আছে। তারা হয় কোন সরকারী নয়তো বেসরকারী স্কুল কলেজের শিক্ষক। ফলে ঝিনাইদহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক থেকে সমস্ত গলি-উপগলিতে নাম কা ওয়াস্তে শোভা পাচ্ছে শুধু কোচিং সেন্টারের সাইনবোর্ড। কারা এর শিক্ষক? কারা এর ছাত্র? কোন কিছুই বোধগম্য নয়। দেখা গেছে, কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িয়ে গিয়ে এই শিক্ষকরা এক সময় স্কুলই খুলে বসেছেন। এর কোন রাজস্ব কর দিতে হয় কি না সেটাও অজ্ঞাত। একসময় ডাক্তারদের পয়সা ওয়ালা বলে সম্বোধন করা হয় এখন ডাক্তারদের পাশাপাশি কোচিং সেন্টারের মালিকদের পয়সা ওয়ালা বলে অভিহিত করা হচ্ছে যা বর্তমানে জেলা জুড়ে ট্যক অব টাউন বলে পরিচিতি পাচ্ছেন।

জানাগেছে, কোচিং সেন্টারের মালিকরা শহরের এবং শহরতলী এলাকা গুলোতে জমির ব্যবসা শুরু করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ডেভোলোপিং কোম্পানীর সাথে শেয়ারে ব্যবসা করে যাচ্ছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বছরশেষে কোচিং ব্যবসার লভ্যাংশ কোটি টাকার উর্ধ্বে ছাড়িয়ে যায়। অনুসন্ধান করে আরো জানা গেছে, কিছু দিন আগেও ঝিনাইদহের সরকারী ও বেসরকারী স্কুলের শিক্ষকরা সম্মিলিতভাবে নিজেরাই একটি কোচিং সেন্টার খুলেছেন এবং তাদের স্কুলের পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের কোচিং সেন্টারে ভর্তি হবার জন্য উদ্ধুদ্ধ করছে। আরো জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের অগনিত কোচিং সেন্টারের কারনে সরকারী বেসরকারী নামকরা স্কুলগুলো ক্রমেই অন্তঃসার হয়ে পড়ছে। একদিকে স্কুল অন্যদিকে কোচিং সেন্টারের চাপ সহ্য করতে না পেরে প্রায় শিক্ষার্থীরাই মানসিক অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এদিকে পাড়ায় মহল্লায় প্রায় প্রতিদিন একটি করে কোচিং সেন্টার তৈরী হবার ফলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বর্ণনা করে এলাকাবাসী জানান, ছোট ছোট খুপড়ি ঘরের মধ্যে অবর্ণনীয় ভাবে গাদাগাদি করে বসে সেখানে শিক্ষার্থীরা কি লেখা পড়া শিখছে। কোচিং সেন্টারের অধিকাংশ শিক্ষকদের পাঠদান পদ্বতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক অভিভাবক। তারা জানান, রাতেও কোচিং করানো হচ্ছে। এতে কি সবাই একযোগে শিক্ষিত হয়ে পড়ছে ? যা নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে ব্যাপক ভাবে আলোচিত হচ্ছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সচেতন মহল জানান, মন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বাঁচাতে ঝিনাইদহের কোচিং সেন্টারগুলো যথাদ্রুত বন্ধ করে সিলগালা করা অত্যন্ত জরুরী।

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:৩৮
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫২
  • ১১:৫৩
  • ৩:৫৭
  • ৫:৩৮
  • ৬:৫২
  • ৬:০৪

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১