স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ বুধবার সকালে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার দুধসর ইউনিয়নের নাকোইল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জিংক সম্মৃদ্ধ ব্রি ধান৭৪ জাতের ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের “ডেলিভারি অব হাই জিংক রাইস ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের সহযোগি সংস্থা হিসেবে স্থানীয় এনজিও উন্নয়ন ধারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের নাকোইল গ্রামের স্বাধীন কৃষক সংগঠনের সভাপতি আক্কাচ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহ্ মোহাঃ আকরামুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সন্জয় কুমার কু-ু , উন্নয়ন ধারার নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ মো: শহীদুল ইসলাম, হার্ভেস্ট প্লাস প্রকল্পের সমন্বয়কারী প্রফুল্ল কুমার সরকার,সাংবাদিক সাজ্জাদ আহমেদ, দুধসর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সায়ুব হোসেন জোয়ার্দ্দার,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান প্রমূখ।অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন ধারার পিএফএসএসএ প্রকল্পের সহযোগি সমন্বয়কারী কৃষিবিদ মোঃ রুবেল আলী, হারভেস্ট প্লাস প্রকল্পের ডাটা ম্যানেজমেন্ট অফিসার তানভীর আহম্মেদ রনি, স্বাধীন কৃষক সংগঠনের সভাপতি আক্কাচ উদ্দীন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স¦াধীন কৃষক সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ এবং কৃষাণ-কৃষাণীবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন ধারার পিএফএসএসএ প্রকল্পের সহযোগি সমন্বয়কারী কৃষিবিদ কৃষ্ণদাস সাহা।
উক্ত অনুষ্ঠানে নাকোইল গ্রামের কৃষক মহিদুল ইসলামের বোরো মৌসুমের জিংকসমৃদ্ধ ব্রি ধান৭৪ জাতের ধানের ক্রপ কাটিং করা হয় এবং শুকনো অবস্থায় ৭.৮০ টন/হেক্টর ফলন রেকর্ড করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রদর্শণী কৃষাণ-কৃষাণীরা তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া বক্তারা বলেন যে, বাংলাদেশের আজকাল মা ও শিশুদের মধ্যে জিংকের ব্যাপক অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এর অভাবে শিশুদের স¦াভাবিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়, বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি যেমন-ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। পরিণামে শিশুদের অকাল মৃত্যুসহ বুদ্ধিমত্তা হ্্রাসের ঝুঁকি বাড়ায় যা স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি বিনির্মাণে বিরাট অন্তরায়। জিংকের অভাব দূর করার ক্ষেত্রে এই জাতটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং দেশের পুষ্টির অভাবে ভোগা মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির অবস্থা উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে উপস্থিত সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।