স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দুলালমুন্দিয়া বাজারে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ওহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি খামারমুন্দিয়া গ্রামের গোলাপ হোসেন শেখের ছেলে এবং উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ছাগলে পাট খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক শালিসী বৈঠকে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে কুপিয়ে জখম করা হলে শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। এ ঘটনায় ইউপি মেম্বর ইসমাইল, জালাল উদ্দীন ও দিদার আহম্মেদ নামে তিন ব্যাক্তি আহত হয়েছেন। পুলিশ শহিদুল ও সাদ্দাম হোসেন নামে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর ইসমাইল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে দুলালমুন্দিয়া গ্রামের শাহাজানের পাট ক্ষেতে তছরুপ করে বিল্লাল হোসেনের ছাগলে। এ নিয়ে দুজনের মারামারি হলে একই দিন রাত ১০টার দিকে স্থানীয় রায়গ্রামের চেয়ারম্যান ও কালীগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন বিপুর মধ্যস্থতায় শালিস বৈঠক ডাকা হয়। তিনি আরো জানান, শালিস বৈঠক শুরুর মুহুর্তে চেয়ারম্যানেরই ভাইপো শহিদুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, রাজা মিয়া, রাজিব, জাহাঙ্গীর হোসেন ও হযরত আলীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে তারা চেয়ারম্যানকে আঘাত করার চেষ্টা করলে এ সময় তার বডিগার্ড সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ওহিদুল ইসলাম বাধা দেয়। হামলাকারীরা এ সময় ওহিদুল, ইউপি মেম্বর ইসমাইল, জালাল ও দিদারকে কুপিয়ে জখম করে। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে ওহিদুল মারা যায়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছাগলে পাট খাওয়া কে কেন্দ্র করে গ্রাম্য বিচার সভায় হামলায় চালিয়ে ওহিদুলকে আহত করা হয়। পরে তিনি যশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ২জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে যারা এ ঘটনায় সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।