জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের নাটাবাড়িয়া গ্রামে আবারো আরেকটি পরিবারকে একঘরে করার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে ঝিনাইদহ র্যাব-৬কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সাংবাদিকদের কাছে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ এনে নাটাবাড়িয়া গ্রামের ফকির লস্কারের ছেলে আব্দুল বারিককে মাতুবররা একঘরে করেছেন। বারিকের বাড়িও ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সাথে নাটাবাড়িয়া গ্রামের কথিত মাতুব্বর মোস্তফা, মানোয়ার হোসেন, সাইফুল ও আকবর বেড়ে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গত ৯ আগষ্ট একটি পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়।
বুধবার খবরটি নজরে আসলে মহামান্য আদালত স্ব-প্রনোদিত মামলা রজু করেছেন। আদালত তার আদেশে উল্লেখ করেছেন, নাটাবাড়িয়া গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি আব্দুল বারেক ও তার পরিবারকে একঘরে করে স্বাভাবিক চরাফেরায় বাঁধা সৃষ্টি করছে। অথচ চলাফেরা করার স্বাধীনতা এবং কাজ করার স্বাধীনতা আমাদের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। এই কাজ করে তাদের মৌলিক অধিকার হরন করা হয়েছে। যে সকল ব্যক্তি তাকে স্বাধীন চলাফেরায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তারা আইন বিরুদ্ধ কাজ করেছে মর্মে আদালতের মনে করে।
এছাড়াও তার অসুস্থ স্ত্রীকে চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। তার উঠানে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। জোরপূর্বক এরুপ বে-আইনী কর্মকান্ড সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। ফলে অসামাজিক এসব অনাচার বন্ধ করা আবশ্যক এবং এসব অন্যায় অনাচারের সঙ্গে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় আনা আবশ্যক বলে আদালত মনে করে। সে লক্ষ্যে দোষি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সে বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য র্যাব-৬ ঝিনাইদহকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।