জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সরকারী কেসি বিশ্ববিদ্যায় কলেজের অনার্সের ছাত্র সালমান হোসেন (১৭) কে চাকরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর প্রায় আড়াই মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে ফেরৎ পেতে মুক্তিপণ দাবী করা হচ্ছে। দুই লাখ টাকা দিলে সালমানকে ফেরৎ দিবে বলে ০১৯৯৮-৬২০৮৮১ নাম্বারের মোবাইলে জানানো হচ্ছে।
এদিকে মেধাবী ছেলের শোকে একটি পরিবার পথে বসেছে। সালমান হোসেন ঝিনাইদহ শহরের হামদহ ঘোষপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কায়কোবাদের ছেলে। গত ১৯ মার্চ তাকে চাকরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় মাগুরা জেলার ভোলাাথ গোবিন্দপুরের রুহুল আমিনের ছেলে সুজন (২৭) ও তার বোন রোজিনা খাতুন (৩৫)।
এ ঘটনায় সালমানের পিতা কায়কোবাদ ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করেছেন, যার নং ১১৪৮। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে সুজন ও তার বোন রোজিনা সন্ত্রাসী ও প্রতারক। প্রতিবেশির আত্মীয় হওয়ার সুবাদে আমার ছেলে সালমান তাদের সাথে কথা বলতো। এক পর্যায়ে তাদের ফাঁদে পড়ে সালমান। সালমানকে চাকরীর টোপ দেয় সুজন ও তার বোন রোজিনা। এ জন্য ৩ লাখ টাকা দাবী করে।
সালমান সরলভাবে তাদের কথায় বিশ্বাস রেখে গত ১৯ মার্চ বাড়ি থেকে গরু বিক্রির এক লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি গহনা নিয়ে গোপনে তাদের সাথে চলে যায়। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কায়কোবাদ জানান, সুজন ও তার বোন আমার ছেলেকে ফেরৎ না দিয়ে আটকে রেখে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করছে। থানায় জিডি করার পরও আমি প্রতিকার পাচ্ছি না বলে তিনি অভিযোগ করেন।